হাবিবুর রহমান।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজির হাট বাজারে দোকান ভিটা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার ৭নং ইউনিয়নের হাজির হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিক লীগ নেতা রাসেলের নেতৃত্বে লোকজন দেশিও অস্ত্র শস্ত্র দামা, দা ও হাতুড়ি দিয়ে অন্য পক্ষের উপর আক্রমণ চালাই।
আহতরা হলেন নুর জাহান বেগম,শারমিন আক্তার, মনোয়ারা বেগম,মিনোয়ারা বেগম,আনোয়ারা বেগম,মুন্নি আক্তার,ও তাছলিমা বেগম।
তাদেরকে ছাড়াতে গিয়ে আহত হয়েছেন নুর জাহানের পরিবারের অনেকেই,এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নুর জাহান বেগম সাংবাদিকদের জানান হাজির দক্ষিণ বাজার তাদের দোকান ভিটা ছিলেন সেখানে দীর্ঘ চব্বিশ পঁচিশ বছর তার স্বামী দোকান করতেন,পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পরে শ্রমিক লীগ নেতা তার দলিও প্রভাব খাটিয়ে দোকান ঘর ভিটাসহ দখল করে নিয়ে যায়।পরে আমরা মামলা করে আমাদের পক্ষে রায় এনেও তাদের দলিও ক্ষমতার কারণে দখলে যাইতে পারিনি।আমরা যত বার আমাদের দোকান ঘরে যায়,তারা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের কে মারদর করে বাহির করে দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে আমরা আমাদের দোকা ঘরে গেলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু লোকের সহযোগিতা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চালায় পরে বাজারের বিভিন্ন লোকজন এসে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়, পরে সেখান থেকে যারা আশঙ্কাজনক তাদের কে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
পরে কমলনগর থানার পক্ষ্য থেকে এসে দোকানের তালা লাগিয়ে দেন।এবং ঘটনাটি সমাধানের জন্য আশ্বাস দেন।
এই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।শ্রমিক লীগ নেতা রাসেল এর পক্ষের লোক নিরু,সাইফুল, দুলাল, তারেক, জুয়েল, মাফুজ, ফারুক, রেদোয়ান, আজাদ, আনার উল্যাহ, কাশেমসহ আরো অনেকে ছিলেন। এরা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও দেশিও অস্ত্র দ্যাঁ চুরি হাটুরি দিয়ে আঘাত করলে এতে ৭ জন আহত হয়।
এই বিষয়ে কমলনগর থানার (ওসি)তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং পরবর্তীতে তারা আমাকে জানিয়েছেন।কিন্তু এখন পযন্ত কোনো মামলা হয়নি যদি এই বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ বা মামলা হয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page