সুইটি আক্তার মাদারীপুর।
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামে নৌপথে স্পীড বোট নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টের পেয়ে গ্রামবাসি ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ডাকাতের দলের ২সদস্য নিহত হয়েছে,এসম গুলিতে আহত হয়েছেন ৮ স্থানীয়। আহতরা সবাই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নতি চিকিৎসারা জন্য রাতে ঢাকা রেফার করেন, শুক্রবার রাত সাড়ে১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ২ ডাকাতের পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা হলেন ১.আবুল কালাম সরদারের ছেলে সালাউদ্দিন সরদার (৩৫), ২. আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে দুলাল সরদার (৩৫), ৩. আব্দুল হালিম ফরাজীর ছেলে সায়েম ফরাজী (১৮), ৪. আব্বাস সরদারের ছেলে অনিক সরদার (১৪)। এরা সবাই মাদারীপুর সদরের খোজপুর ইউনিয়নের রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা। এছারাও গুলিতে আহত হন বরগুনা সদরের কদমতলা এলাকার আজিজ মোল্লার ছেলে হেলাল মোল্লা (৪০)সহ অজ্ঞাত আরও ৩জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের রাজারচর এলাকা ও শরীয়তপুরের কৃত্তীনাশা সীমানায় নদীতে স্পিডবোডে করে বালুর ট্রলারে ডাকাতি করতে আসে একদল ডাকাত। এ সময় বালুর টলারের লোকজনের চিৎকারে গ্রামবাসী ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করলে। ডাকাতরা টের পেয়ে গ্রামবাসীর উপরে গুলি চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ডাকাত দলের ২সদস্য নিহত সহ গুলিতে গুরুতর আহত হয় ৮জন। ডাকাতরা এই সুযোগে কৃত্তীনাশা নদী দিয়ে দ্রুতগতিতে স্পিডবোট চালিয়ে শরীয়তপুরের দিকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, “স্পিডবোট যোগে একদল ডাকাত সদর উপজেলার রাজারচর এলাকাও শরীয়তপুরের৷ কৃত্তীনাশা সীমানায় বালুর নৌকায় ডাকাতি করতে আসলে। এ সময় স্থানীয়রা ডাকাতদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা স্থানীয়দের উপরে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় ২ ডাকাত দলের সদস্য নিহতসহ আহত হয়েছে ৮জন। ডাকাতরা স্পিডবোট যোগে দ্রুত শরীয়তপুরের দিকে পালিয়ে যায়। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।