সুইটি আক্তার মাদারীপুর।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় আতশবাজি ফোটানো কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে দফায়- দফায় সংঘর্ষে ২ ওসিসহ আহত হয়েছে ২৩ জন। শনিবার সাড়ে ৮টার থেকে রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত উপজেলার বেপারীপাড়া নামক এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ৮জনই পুলিশ সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ২ এপ্রিল উপজেলার বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ তার বন্ধুদের সাথে ঈদের আনন্দে আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। এতে বাধা দেয় একই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে। এরই জের ধরে পরদিন ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈরের বেপারীপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন। পরে আহত জোবায়েরের বড়ভাই সালমান খান অনিক বাদী হয়ে জুনায়েদকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ১২ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযুক্ত অনিক রাজৈর বাজারে গেলে ধাওয়া দেয় জুনায়েদ ও তার বন্ধুরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ।এ সময় ককটেল ফাটিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় সেনাবাহিনীও। সংঘর্ষে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ খান, পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান জানান, ‘জুনায়েদের পক্ষে নেতৃত্ব দেয় রাজৈর উপজেলা তরুণ দলের সভাপতি গোলাম মাওলা আকন। অপরক্ষ জোবায়েরের নেতৃত্ব দেয় তার বড়ভাই সালমান খান অনিক। সংঘর্ষে থানা পুলিশের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ টহলও দিচ্ছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।’