হাবিবুর রহমান,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলা ৭নং হাজির হাট ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ২ জন দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে প্রায় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্রের জাকির হোসেন রাজন মেম্বার। টাকা ফেরত ও প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
অসহায় এক দম্পতির সারা জীবন কাটে শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে রক্ত পানি করা উপার্জন দিয়ে। জীবনের ক্রান্তিলগ্নে এসেও কোনোরকম রাত্রিযাপন করেন পলিথিন আর বেড়ার তৈরি ঘরে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে দরিদ্র এই পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় জাকির হোসেন রাজন মেম্বার নামে এক প্রতারক।
বাঁশ ও কাপড়ের বেড়ার তৈরি ঘরে থাকে আরও একটি শ্রমিক পরিবার। ঘর পাওয়ার আশায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে তাকেও দিতে হয় ৪৫ হাজার টাকা। কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও ঘর পাওয়াতো দূরের কথা, টাকাও ফেরত পাননি তারা।
জানা যায়,সেই রাজন মেম্বার বিভিন্ন মানুষকে অল্প কিছু টাকা মাধ্যমে ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জেসমিন আক্তার নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ তার কাছ থেকে প্রায় চার বছর আগে জাকির হোসেন রাজন মেম্বার আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তিন ভাগে ৫০ হাজার টাকা নেন চার বছর চলে গেলেও তার ঘরটি এখনো পাইনি,অপরদিকে টাকা চাইতে গেলে অনেক হয়রানির শিকার ও খারাপ কাজের পস্তাব দেওয়া হয়।তার স্বামী মোঃ কবির হোসেন কে কয়েকবার মেম্বারের দোকানে নেওয়ার পরে রাজন মেম্বার বলেন তাদেরকে কয়েক ধাপে টাকা দিবে বলিয়া, ১১৫০০টাকার হাজির হাট সোনালী ব্যাংকের একটি চেক হাতে ধরিয়ে দেন।পরে ভুক্তভোগী কয়েকদিন ব্যাংকে গিয়েও টাকা তুলতে পারেনি, ব্যাংক একাউন্টে কোনো টাকা নাই।
ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি তারা সুদের উপর টাকা নিয়ে রাজন মেম্বারকে দিয়েছে একটি ঘর পাবার আশায় তারা আজ চার বছর টাকার সুদ দিতে হয়,এখন আর ঘর চাইনা।প্রশাসনের মাধ্যমে টাকা ও টাকার সুদ সহ ফেরত চাই।