রাজিব তাজ ঃ ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু, ল্যাবএইড লিঃ (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) এর গাইনী চিকিৎসক।
বিগত কয়েকমাস যাবৎ গাইনী সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন মেহেন্দিগঞ্জের রুবি আক্তার (২৫)।
পরিচিতজনদের পরামর্শে ল্যাব এইডের ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু’র চিকিৎসা নিতে বরিশাল আসেন।
তখন প্রায় ৪৫০০ টাকার বিভিন্ন ধরনের পরিক্ষা নীরিক্ষা করিয়ে ঔষধ লিখে দেন, কিন্তু রোগী রুবি ঔষধ খেয়ে সুস্থ না হলে ১৪ দিন পর আবার আসেন ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু’র কাছে।১৪ দিন পর যখন আবার ডাক্তার দেখাতে আসেন, তখন ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু’র বেড়িয়ে আসে আসল রুপ।রোগীদের অস্বচ্ছতার দিকে না তাঁকিয়ে কমিশন বানিজ্যে মেতে উঠেছেন ল্যাবএইড’র ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু। প্রথমে ৪৫০০ টাকার টেষ্ট করালেও পরবর্তীতে আরো ১৭৫০ টাকার টেষ্ট ( মেডিনোভা ও ল্যাবএইড) থেকে করাতে বলেন রোগীকে।কিন্তু মেডিনোভা ও ল্যাবএইডে পরিক্ষা নীরিক্ষা না করিয়ে রোগীর পরিচিত এক ল্যাবে গিয়ে টেষ্ট করিয়ে যখন রিপোর্ট দেখাতে আসে, তখন ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ঘটান তুল কালাম কান্ড। এবং রোগীকে আবার ও মেডিনোভা ও ল্যাবএইড থেকে টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসতে বলেন।তখন ভুক্তভোগী রোগী রুবির স্বামী বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়ার জন্য তার রুমে প্রবেশ করতে গেলে, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংবাদিক নেতাদের পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন এবং চেম্বার থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। এবং তখনই ফুটে উঠে ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু’র কমিশন বানিজ্যের সত্যতা।যেখানে বরিশালের নগর পিতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ডাক্তারদের কমিশন বানিজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে, সেখানে ল্যাব এইডের ডাঃ সাহিদা বেগম মিনু চলছেন আপন গতিতে।
বিষয় টি বরিশাল ল্যাবএইডের এ জি এম আঃ জলিল শিকদার কে জানালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ব্যাবস্থা পত্র ঔষধ লেখার অনুরোধ করায় তা অগ্রাহ্য করে মেডিসিন ডাঃ এর কাছে রেফার করে। পরবর্তীতে এজিএম জলিল শিকদার এর জোর অনুরোধে ব্যবস্থা পত্রে ঔষধ লিখে দেন।এ বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন কে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও, পাওয়া যায় নি।
এবং বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব গাঙ্গুলী এ বিষয়ে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ।
You cannot copy content of this page