মোঃনূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ২নং রসুলপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্র দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা দুযোর্গ সহনশীল ঘর বরাদ্দের নামে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ৫১ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কতরু রায়ের পুত্র জগদিশ চন্দ্র রায়।
অভিযোগে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে দুর্যোগ সহনশীল ঘর বরাদ্দের নামে গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কাহারোল উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্র জগদিশ চন্দ্র রায়কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহনশীল ঘর বরাদ্দ দিবে বলে তার কাছ থেকে ৫১ হাজার ঘুষ নেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে টাকা লাগবে বলে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে টাকাগুলো কৌশলে নেয়। জগদিশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি একজন ভূমিহীন ব্যক্তি। আমার শ্যালক তপন চন্দ্র রায়ের কাছে ২০ হাজার টাকা কর্জ নিয়ে সর্বশেষ আমার একটি গরু বিক্রি করে চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্রকে টাকা বুঝিয়ে দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি সরকারি ঘর পেলাম না। উক্ত ঘর বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে ২নং রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদে সকলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিরুপায় ভূমিহীন শেষ পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘর পাওয়ার জন্য দরখাস্ত প্রদান করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত ২নং রসুলপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার মিত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে সরকারি ঘর বরাদ্দ দেয়ার জন্য ৫১ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
You cannot copy content of this page