শাহাবুদ্দিন শিহাব গলাচিপায় রুহুল আমিন মীর হত্যার ঘটনায় রুহুলের স্ত্রী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে মিরাজ মীর ও তার বাবা জসিম মীরকে প্রধান আসামী করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় শনিবার হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিফাত খান(২৬), হৃদয় হাওলাদার (২২), ইমরান হাওলাদার(২৩), মাহমুদ শাকিল (২৩), শহিদুজ্জামান ইমন (২১) নাঈম হাওলাদারকে (২১) শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে মামলার গোপনীয়তার স্বার্থে অনেক তথ্য দিতেই অপরাগতা স্বীকার করছে পুলিশ।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পাড়ডাকুয়া গ্রামের ওই এলাকার খালেক মীরের ছেলে রুহুল আমিন মীরকে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মিরাজ ও চাচাতো ভাই জসিম মীরের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ অর্ধশতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা গত শুক্রবার (২৫ জুন) উপজেলার পাড়ডাকুয়া ব্রিজ বাজারে রুহুলের ওপর রড ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত রুহুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে লেবুখালী ফেরিঘাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ও উপজেলার বাইরে জমিজমার বিরোধীয় এলাকায় ভাড়াটে লাঠিয়াল হিসেবে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়।’
You cannot copy content of this page