মোঃ রাজু আহম্মেদ মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি ॥মাদারীপুরের কালকিনিতে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দুইজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয়েছে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়নের মৌলভীকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া একই দিনে পুর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহড়উদ্দিরচর গ্রামের কাসেম তালুকদারের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার ঘর ভাংচুর ও ছেলে তাইজুল ইসলাম তালুকদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কালকিনির উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়নের কালাই সরদারের চর এলাকার মিরাজ খাঁ (৫০), স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম ও তার ছেলে নাজমুল খাঁ (২২) দুজনে বুধবার বিকেলে একই ইউনিয়নের পাশের মৌলভীকান্দি আনোয়ার হোসেন কল্লা (নামজুলের শ^শুড়) আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। বাঁধা দিতে এলে পিটিয়ে আহত করা হয় নারীসহ ৫ জনকে। এ সময় মিরাজ ও তার ছেলেকে দুর্বৃত্তরা এলোপাথারি কোপাতে থাকে। মিরাজের বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে পাঠানো হয় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পুর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহড়উদ্দিরচর প্রামের কাসেম তালুকদারের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার ঘর ভাংচু ও ছেলে তাইজুল ইসলাম তালুকদারকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীর দল তাদের ৪ গরু নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মিরাজ খাঁনের বিছিন্ন পা উদ্ধার করেন।
আহত তাইজুলের বাবা কাসেম তালুকদার বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ফযরের নামাজ মসজিদে আদায় করে ছেলে নিয়ে ঘরে আসা মাত্র ওরা দা দিয়ে কুপিয়েছ। এসময় ঘরে ডুকে দুইটি স্বর্নের চেইন, তিন লাখ নগদ টাকা ও চারটি গরু নিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনা জানার জন্য প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আহত মিরাজ খানের স্ত্রী ও নাজমুলের মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, আমার স্বামীর পা কাটছে ও আমার ছেলে নামজুলরে কোপাইছে রহমান হওলাাদার,জামাল কাজি,কামাল কাজি রাসেল সিকদার, দেলোয়ার তালুকদার, রাসেল তালুকদার, আমিনুর তালুকদার, সিমন তালুদকার, লালু মৃর্ধা ,জাহাঙ্গীর মৃধা আমি তাদের বিচার চাই।
আহত তাইজুলের শাশুড়ী রেবা বেগম, আমার মেয়ে জামাই কোন দলাদলীর মধ্যে নাই, কেন তাকে আহত করলো, আমরা মামলা করবো, আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।