মোঃশাহাবুদ্দিনঃকলাপাড়া উপজেলার ৫ নং নীলগঞ্জ ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড সদরপুর গ্রামে কারিতাস এর ভবনে ইলিশ অভয়াশ্রম রক্ষায় সচেতনামূলক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইলিশ অভয়াআশ্রমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকুন ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করুন, এই শ্লোগানকে কেন্দ্র করে। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার সমগ্র আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকাকে সরকার ইলিশ অভয়াআশ্রম ঘোষণা করেছে।
এই অভায়াআশ্রম এলাকায় ১ নভেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি( মোট তিন মাস) সকল প্রকার মাছ ধারা নিষিদ্ধ। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় আন্ধারমানিক নদীর ইলিশ অভয়াআশ্রম রক্ষায় সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃমাহবুবুর রহমান উপ-প্রকল্প পরিচালক ও জনাব অপুসাহা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কলাপাড়া পটুয়াখালী। মৎস্য উপসহকারী জনাব মোঃ মহাসিন রেজা। এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য সম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০এর ৩নং ধারা অনুযায়ী মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা অনুযায়ী ১৯৮৫এর ১৩ অনুযায়ী কলাপাড়া উপজেলার একমাত্র ইলিশ অভয়াশ্রম আন্ধারমানিক নদীর গোলবুনিয়া পয়েন্ট থেকে লতাচাপলী সাগর মোহনা পর্যন্ত ৪০কিলোমিটার জায়গায় তিন মাসের জন্য সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ এই আইন অমান্যকারী পক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় কিছু সংখ্যক জেলেরা তারা বলেন, আমরা অবরোধের সময় অনেক কষ্টে আমাদের পরিবার-পরিজনসহ দুঃখের দিন কাটাতে হয়। পর্যাপ্ত সরকারের দেয়া অনুদান পর্যাপ্ত পরিমাণে না হওয়ায়, আমাদের অনাহারে অর্ধহারে দিনযাপন করতে হয়। তাই আপনাদের মাধ্যমে সরকারের সহযোগিতায় অবরোধ চলাকালীন সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আমাদের দুঃখ দুর্দশা যাতে আমরা দূর করতে পারি।
You cannot copy content of this page