• বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আতঙ্কে নারায়ণগঞ্জ: নিরাপত্তাহীনতার নগরীতে রূপান্তর,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা চলে গেলেন বরেণ্য অভিনেতা রবার্ট রেডফোর্ড,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মেসির গোলে সিয়াটলের সাথে জয় পেলো মায়ামি,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জেলার সংবাদ টাঙ্গাইলে তৃণমূলের প্রিয়মুখ ফরহাদ ইকবালের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কাপাসিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব, নিরাপত্তায় চলছে প্রস্তুতি,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা স্বচ্ছতা আনতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সবার রাজনৈতিক অধিকার আছে দাবি জানানোর—আমরাও জানাবো: সালাহউদ্দিন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইইউ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা টানা বৃদ্ধির পর অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম নিজস্ব প্রতিবেদক,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবারের পূজা খুবই নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

১৪দিন পর কবর থেকে তোলা কুয়েট শিক্ষকের লাশ পাঠানো হলো ঢামেকে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ২৪৮ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরে মরদেহ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দাফনের ১৪ দিন পর কুয়েট শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তার আগে জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেন। বাকি দুই সদস্য হচ্ছেন-ডা. রুমন রহমান ও ডা. মাহাফুজুর রহমান।
বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য এক চিঠিতে তাকে মরদেহ ময়নাতদন্তে অপারগতার বিষয়টি জানান।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, ওই লাশের সঠিক ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বরাবর প্রেরণ করা প্রয়োজন।’ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিভিল সার্জন জানান, ময়নাতদন্ত করতে অপারগতা চাওয়ার বিষয়টি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে কি-না তার জানা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্যের কেউই গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনা করেই হয়তো তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, খুলনা খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস ও কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মরদেহ উত্তোলনের সময় শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলীসহ স্বজনরা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যার সঠিক বিচার চান।
গত ৩০ নভেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
পরদিন ১ ডিসেম্বর অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ