• সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা,,, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না”— বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ঘোষণা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ,,,

যেসব গুনাহ হয়ে থাকে জিহ্বার মাধ্যমে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ৩২০ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২২

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে জিহ্বা অন্যতম একটি। এর সঠিক ও সুন্দর ব্যবহারে মানুষ হয় জান্নাতি। জিহ্বার মাধ্যমে মানুষ কথা বলে। আর এ কথার দ্বারা মানুষ যেমন ভালো কাজ করে আবার এর দ্বারা সংঘটিত হয় অনেক গুনাহের কাজ। তাই জিহ্বার হেফাজতের নিশ্চয়তায় জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি।
এ জিহবা দিয়ে মানুষ কথা বলে। কথা যেমন হতে পারে দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো কাজ, আবার কথার মাধ্যমেই ইচ্ছা-অনিচ্ছায় হতে পারে গুনাহ। যে গুনাহগুলো আবার মারাত্মক ও জঘন্যতম। কিছু গুনাহ মহান আল্লাহও ক্ষমা করবেন না। কারণ মহান আল্লাহ তাঁকে অস্বীকারের ঘোষণা দেওয়া ও গিবতকারীর গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। যা ঘটে থাকে জিহ্বার মাধ্যমে। এছাড়াও আরো যেসব গুনাহ হয়ে থাকে তাহলো-
১. মিথ্যা বলা;
২. ঠাট্টা বা বিদ্রƒপ করা;
৩. খারাপ, অশ্লীল কথা বলা বা গালি দেওয়া;
৪. নিন্দা করা;
৫. অপবাদ দেওয়া;
৬. গিবত করা বা চোগলখোরী করা;
৭. ইসলামি শরিয়তের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গোপনীয়তা ফাঁস করা;
৮. মুনাফেকি করা বা দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করা;
৯. বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা;
১০. আনন্দ বিনোদনের জন্য বাতিল ও হারাম জিনিষ নিয়ে আলোচনা করা;
১১. কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ উপনামে ডাকা;
১২. অভিশাপ দেওয়া;
১৩. যে কারো মিথ্যা প্রশংসা করা;
১৪. মিথ্যা স্বপ্ন বলা;
১৫. অনর্থক চিৎকার বা চেঁচামেচি করে কাউকে কষ্ট দেওয়া;
১৬. জিহ্বা দিয়ে হারাম বস্তুর স্বাদ নেওয়া ই খাওয়া;
১৭. জিহ্বা দিয়ে খরাপ ইঙ্গিত বা অঙ্গভঙ্গি দেখানো;
১৮. জিহ্বা দিয়ে কাউকে ব্যঙ্গ করা;
১৯. বিশেষ করে
এ জিহ্বা দিয়ে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে তার সমকক্ষ বলে উল্লেখ করে শিরক করা, কারো প্রশংসা করা; কারো কাছে কিছু চাওয়া বা প্রার্থনা করা ইত্যাদি।
এসব ক্ষেত্রে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদিস বেশি বেশি স্মরণ করা। যার যথাযথ ব্যবহারে যেমন রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। আবার যার সঠিক ব্যবহার না হলে দুনিয়া ও পরকালে নিশ্চিত ধ্বংস। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত সাহল ইবনু সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী অঙ্গ (লজ্জাস্থান) হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেবো।’ (বুখারি)
সুবহানাল্লাহ! কত সুন্দর কথা। কত বড় পুরস্কারের ঘোষণা। ছোট দুইটি কাজ- একটি জিহ্বা যথাযথ ব্যবহকার করা এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা। মুমিন মুসলমানের জন্য এ দুইটি কাজই সহজ। প্রয়োজন শুধু সদ্বিচ্ছার।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিহ্বার খারাপ কথা ও কাজ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। জিহ্বাকে হেফাজত করে জান্নাতের নিশ্চয়তা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ