এম.জাফরান হারুন, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্ত্রীর যৌতুকের টাকা না পেয়ে ফুফু শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন স্বামী।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গজালিয়া ইউনিয়নের এক যুবক (৩৫) ২০০৯ সালে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পরই স্বামী যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করে নির্যাতন করতেন এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্যে চাপ দিতেন। স্ত্রী যখন যা পারতেন বাবাকে বলে এনে দিতেন। তাদের ঘরে একে একে তিনটি সন্তান জন্ম নেয়। একটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে। ছোট মেয়ের বয়স পাঁচ মাস।
শেষমেশ যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে স্ত্রীর ফুফুকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। স্ত্রীর ফুফুর আগের ঘড়ে একটি কন্যা সন্তান আছে সাত বছরের। স্ত্রীর ফুফুর স্বামী ঢাকা থাকে। তাকে তালাক নামা পাঠায় স্ত্রীর ফুফু।
এদিকে স্বামী ওই যুবক একটি উকিল নোটিশ পাঠায় আগের স্ত্রীর কাছে।
ওই যুবকের স্ত্রী বলেন, আমার এখন কি হবে? আমি কোথায় যাব? আমার এই তিনটি বাচ্চা নিয়ে কি করবো, আমার মাও বেঁচে নেই। তাই আমি সমাজের সবার কাছে এবং আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
ওই যুবকের স্ত্রীর বাবা বলেন, আমি এই বিষয়টি নিয়ে ছেলের বাবার সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেছেন- আমি কিছু জানি না; তোমরা যা পারো করো।
স্বামী ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে যৌতুকের টাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার যাকে ভালো লেগেছে আমি তাকেই বিয়ে করেছি।
এবিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি শওকত আনোয়ার প্রতিবেদককে বলেন, ওই ব্যাপারটি শুনেছি তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page