মোঃ মিঠু সরদারঃ পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙের ফলে তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মানুষ আতঙ্কে জীবনযাপন করেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,পায়রা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই।২০০মিটার পর্যন্ত জিও ব্যাগ ফেলে রেখে বেড়িবাঁধ নির্মাণে স্থায়ী করার চেষ্টা করে কিন্তু সফল হয় নি।ভাঙন বাঁধের দক্ষিণ দিকে ঢুকছে। জিও ব্যাগসহ ভেঙে গিয়েছে বাঁধটি। পানির স্রোতে বাঁধ থেকে ধীরে ধীরে মাটি সরে যাচ্ছে। ভাঙন স্থানগুলো বিশাল আকার ধারণ করছে। এতে বাঁধের কাছে গিয়ে লোকজন দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো দেখছে ভাঙন।বাধের কয়েকটি স্থান ফাটল দেখা দেয়।ফলে পূর্ণিমার জোয়ারে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে খুব সহজেই বাধটি ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানান,গত দুই বছর আগে এই এলাকার কয়েকটি স্থান ধসে যায়। প্লাবিত এসব বাড়ির রান্না করার স্থান প্লাবিত হওয়ায় নারী, শিশুসহ অধিকাংশ মানুষ অভূক্ত রয়েছ।পাউবো থেকে শুধু বালুর বস্তা ও অস্থায়ী রিন বেড়িঁবাধঁ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ভাঙন স্থানে স্থায়ী কোনো কাজ করা হয়নি।অধিকাংশ গ্রাম, চিংড়ি ও মৎস্য খামার তলিয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।আমাদের দাবি দ্রুত স্থায়ী বেড়িঁবাধঁ নির্মাণ করা হোক।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়নি বলে স্থানীয়রা জানান।তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মো.জলিল হাওলাদার বলেন, এই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই আমাদের যাতায়াত পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের থাকতে সমস্যা হচ্ছে।তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মো.পানু ঘরামি বলেন,এখান থেকে পানি ওঠে পুরো এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে ও আমাদের ক্ষেত নষ্ট হয় যাচ্ছে।বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকছে।পানির চাপে পুকুরের মাছ বের হয়ে যাচ্ছে।বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ঐ স্থানে আমাদের লোক পাঠানো হবে। দ্রুত বাঁধ সংস্কার করে দেওয়া হবে।