আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে আসামি বহনকারী পিকআপ ভ্যানের সামনে শুয়ে পরে পথরোধ করেন ছাত্রলীগ নেতা সজিব সরদারের স্বজনরা।
এসময় আদালত প্রাঙ্গনে কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে কসম করে সজিবের স্ত্রী নওরীন জাহান মৌ বলেন, আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ, পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। র্যাব-৮ এর সদস্যরা আমার স্বামীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। আমি পুরো ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, আদালত প্রাঙ্গণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আসামিকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে। এর আগে র্যাব-৮ এর সদস্যরা জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা বাজার সংলগ্ন প্রভাতী ভবনের নিজ বাসা থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে সজিব সরদারকে। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দিয়ে সজিবকে হস্তান্তর করা হয় থানায়।
বুধবার তাকে (সজিব) আদালতে তোলা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোঃ মনিরুজ্জামান আসামি সজিবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে নেয়ার পথে সজিবের মা ও স্ত্রীসহ স্বজনরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরেন। এ সময় নারী কনস্টেবলরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলে হট্টগোল বাঁধে। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সজিবের স্ত্রী নওরীন জাহান মৌ বলেন, সজিব ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহর অনুসারী। কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে মৌ কসম করে বলেন, সোমবার রাতে হঠাৎ করে আমাদের বাসায় র্যাব সদস্যরা আসেন। তারা আমাদের জানায় ঘর সার্চ করবেন বলে জানায়। পরে আমাকে ও আমার স্বামী সজিবকে একপাশে সরিয়ে দিয়ে র্যাব সদস্যরা ঘর সার্চ শুরু করেন। এরমধ্যে দেখি র্যাব সদস্যরা একজন আরেকজনের কাছে একটি অস্ত্র (শুটার গান) দিয়ে বলছে, আমার বিছানার নিচ থেকে পাওয়া গেছে। তারপর নিজেদের পকেট থেকে ইয়াবা বের করে বলছে, আমার স্বামীর প্যান্টের পকেটে পাওয়া গেছে। এভাবে আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।