এম.জাফরান হারুন, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দুস্থ, ভূমি ও গৃহহীনদেরকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেওয়ার কথা বলে নেওয়া কয়েক লাখ টাকা ঘুষ এক এক করে ঘুষের টাকা ফেরত দিচ্ছেন সেই উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. নজরুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ‘গৃহহীনদের সঙ্গে তহশিলদারের প্রতারণার অভিযোগ’ শিরোনামে যুগান্তর অনলাইনে এবং বুধবার (৬ জুলাই) অপরাধ তালাশ ও টিভি টেন বাংলায় দুস্থ, ভূমি ও গৃহহীনদেরকে ঘর দেয়ার কথা বলে তহশিলদার নজরুল’র প্রতারণার সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি সর্বত্র জানাজানি হলে ভূক্তভোগীদের মাঝে এক এক করে নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেছেন তহশীলদার নজরুল। তিনি উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে ঘুসের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ভুক্তভোগীরা স্বীকার করলেও সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তহশিলদার নজরুল।
এদিকে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত পাওয়ার পর মির্জাগঞ্জে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়।
ভুক্তভোগী উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মো. মজিবর হাওলাদার বলেন, ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তহশিলদার নজরুল স্যার অফিসে খবর দিয়ে নিয়ে আমার ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন।
একই গ্রামের মো. মোতালেব মিয়া জানান, ঘর দেবে বলে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেন তহশিলদার। দীর্ঘদিন যাবত অফিসে ধরনা ধরেও ঘর না পেয়ে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে অভিযোগ করেছি জেনে অফিসে ডেকে নিয়ে আমার টাকা ফেরত দেন।
ওই গ্রামের জতীন গোলদার বলেন, আমার ছেলেসহ সাতজনকে ঘর দেওয়ার জন্য আমার মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা নেন নজরুল তহশিলদার। আপনারা (সাংবাদিকরা) জানার পর ৪ জনের টাকা ফেরত দিয়েছেন। এখনো আমার ছেলের টাকাসহ ৩ জনের টাকা স্যারের কাছে পাওনা আছে। পরে টাকা ম্যানেজ হলে বাকি টাকা দিয়ে দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঘুসের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি কারো কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেইনি এবং ফেরতও দেইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, আমি ভুক্তভোগীদের ডেকেছিলাম। তারা টাকা ফেরত পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।