এম.জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মধ্য মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের বেইজ কেটে তোলা মাটি নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনা ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও সভাপতি আসাদুজ্জামান ফরিদ এর বিরুদ্ধে।
আসাদুজ্জামান ফরিদ ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মদনপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং নওমালা আব্দুর রশীদ খান ডিগ্রী কলেজের শরীর চর্চা বিষয়ক শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মধ্য মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি একাডেমি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে মেসার্স হামিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ঠিকাদারের পক্ষে নির্মাণ কাজটি দেখভাল করছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান ফরিদ। সম্প্রতি নির্মাণাধীন ভবনের বেইজ কেটে মাঠে স্তুপ করে রাখা মাটি নিয়ে যান তিনি।
এদিকে সভাপতি তার বাড়ির আঙ্গিনা ভরাটের জন্য বিদ্যালয়ের মাটি নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের মুল ভবনের সামনের মাঠে মাটি প্রয়োজন। সেখানে মাটি ভরাট করা হলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ পেত। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান ফরিদ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মাটিগুলো নিয়েছেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের মাটি রাস্তার কাজে সহ বিদ্যালয়ের মাঠে ব্যবহৃত হয়েছে। আমার জানা মতে সভাপতি মাটি নেননি।
এপ্রসঙ্গে অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি আসাদুজ্জামান ফরিদ বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আমি বিদ্যালয়ের মাটি নেইনি। সেই মাটি বিদ্যালয়ের রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আর আপনারা আমার বাড়ির আঙ্গিনায় যে মাটি দেখেছেন তা খাল থেকে কিছু মাটি নেয়া হয়েছে।
অনুমতি ছাড়া খালের মাটি নিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতি নিশ্চুপ থাকেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় কিংবা খালের মাটি নেয়ার কোনও সুযোগ নেই। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page