নিজস্ব প্রতিনিধি।। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে পূস্প্যাধাম পার্টিপ্যালেস এর হলরুমে ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা ও আইডি কার্ড বিতরন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এ সময় তিনি বলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও সরকার একযোগে সাংবাদিকদের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের সমস্যা গুলো সরকারের কাছে তুলে ধরেছে প্রতিকারের জন্য এবং সরকারের বক্তব্য ও সাংবাদিকদের নিকট পৌঁছানো হয়।তিনি বলেন সাংবাদিকদের জন্য আইন সংস্কারের জন্য কমিটির সুপারিশ করা হয় তার দায়িত্ব গ্রহণ এর পূর্বেই। সুপারিশ নামায় সাংবাদিক নেতারা সমর্থন ও স্বাক্ষর করেন। সেই আলোকে কাজ চলছে। বর্তমানে রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠানো হয়েছে। প্রেস কাউন্সিল এর প্রত্যাশা সাংবাদিকগন গ্রাজুয়েট হবেন অথবা ৫ বছর সাংবাদিক পেশায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রেস কাউন্সিল সারা দেশের সাংবাদিকদের জন্য ডাটাবেইজ তৈরি করবে যেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য থাকবে। ফলে সারা দেশে সাংবাদিক পরিচয়ে কোন ধরনের অপরাধ অথবা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার সুযোগ পাবে না। কারন ডাটাবেইজ খুললেই ঐ সকল সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আদৌ সাংবাদিক কিনা তা জানা যাবে। বর্তমানে মিথ্যা নিউজ করলে ১০ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।সাংবাদিকদের ভয়ের কোন কারণ নেই প্রেস কাউন্সিল ১৪জন সদস্য দ্বারা গঠিত, তারমধ্যে ৯ জনই সাংবাদিক সদস্য।
তিনি আরও বলেন প্রেস কাউন্সিল এ অভিযোগ প্রতিকার এর জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট বিচারিক
প্যানেল তৈরি করা হয়। তাতে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান ও দুই জন সাংবাদিক সদস্য থাকেন। ডিজিটাল আইন নিয়ে সাংবাদিকদের ভয়ের কোন কারণ নেই, নিয়ম মেনে সঠিক মতো দায়িত্ব পালন করলে তার কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রেস কাউন্সিল প্রথম গঠন করেন যেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তিরস্কার এর বিধান ছিলো (৪৮ বছর) পূর্বের। ভারতের প্রেস কাউন্সিল গঠিত হয় ১৯৭৮ সালে এর ও পরে নেপালের প্রেস কাউন্সিল গঠিত হয়। ভারতের প্রেস কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রেস কাউন্সিল কে অনুসরণ করে আইন গঠন করে।
ঢাকা প্রেসক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি জনাব মোঃ মোসলেহ উদ্দিন বাচ্চু বলেন বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য বাহিনীর মৃত্যু বরণ ও দূর্ঘটনায় আহত বা নিহত হলে রাষ্ট্র তাদের পাশে থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন সাংবাদিক দূর্ঘটনা ও নিহত হলে সরকার কিংবা পত্রিকার মালিক কাউকেই পাশে থাকতে দেখা যায় না। সরকারি কোন কর্মচারী অসুস্থ হলে তাদের নিজস্ব সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে চিকিৎসার যাবতীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা ও ঔষধ পীড়ি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয় কিন্তু এই সুযোগ সাংবাদিকদের জন্য নেই এবং সরকারী হাসপাতাল গুলো তে সাংবাদিকদের জন্য কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এই জন্য তিনি জোড় দাবি করেন যেন সকল সাংবাদিকদের জন্য পিড়ি চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এই সময় তার বক্তব্যে তিনি বলেন আমরা চাই হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধে আইন করা হোক। তিনি দাবি করেন বৃটিশ আমলের গুপ্তচর আইনের অপব্যবহার করে সরকারি কিছু আমলা তথ্য সংগ্রহে বাঁধা সৃষ্টি করে সম্প্রতি প্রথম আলোর একজন সিনিয়র সাংবাদিক কে গুপ্তচর আইনে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। এছাড়া ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সম্পাদকের বক্তব্যের উপর একাত্ম তা প্রকাশ করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান এর নিকট তা তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথি ঢাকা প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক রফিক উল্লাহ সিকদার বলেন প্রেস কাউন্সিল ও সরকার শুধু পত্রিকার মালিক সংগঠন এর সাথে আলোচনা বৈঠক করলেই হবে না সাংবাদিক সংগঠন গুলোর সাথে ও আলোচনা করতে হবে।
ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন বাচ্চু এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা জনাব ওবায়দুল হক খান, লায়ন এম এইচ মারুফ সিকদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহি সদস্য জাকির হোসেন সহ ঢাকা প্রেসক্লাবের কার্য্য নির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এইচ মাহফুজ, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আলাউদ্দিন, সদস্য এম এ গণি, বিপ্লব পাল, মোঃ নজরুল ইসলাম,মোঃ জয়নাল আবেদীন ফরাজী সাংবাদিক মোঃআল আমিন খান বৃন্দাবন মল্লিক সহ প্রমুখ।
You cannot copy content of this page