
রংপুর প্রতিনিধি:সাফজয়ী স্বপ্না রংপুরে প্রবেশ করায় রংপুরের জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, ক্রিয়া সংস্থা, বিভিন্ন সংগঠনসহ আপামর জনগন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান সাফজয়ী ফুটবলার সিরাত জাহান স্বপ্না, সোহাগী কিসকো ও স্বপ্না রানী রায়। সেখানে তাদেরকে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে ছাদখোলা জিপ গাড়িতে সিরাত জাহান স্বপ্নাসহ তিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারকে মোটর সাইকেল ও গাড়ির বহরের মাধ্যমে সৈয়দপুর হতে রংপুরে এসে দুপুরে রংপুর টাউন হলে এনে সংবর্ধনা দেয়া হয়। রংপুর বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে প্রশাসনসহ আপামর জনতা।
এ সময় ফুল দিয়ে উপস্থিত থেকে বরণ করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুর আহম্মেদ আজাদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পাশাপাশি সাংবাদিক সংগঠনগুলোন।
এ সময় সিরাত জাহান স্বপ্না বলেন, যখন আমি প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম, তখন এলাকার অনেকে বাধা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের সমাজের পুরুষেরা চায় মেয়েরা একটু পিছিয়ে থাক। এখন আমার সাফল্যে তারাও আনন্দ প্রকাশ করছে। পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সামনে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।
সাফ জয়ের ১০ দিন পর রংপুরে ফিরে স্বপ্না বিদেশি ক্লাবে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, রংপুরের মানুষ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এভাবে বরণ করে নেয়ায় সামনে ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। বিদেশি ক্লাবে খেলার জন্য মৌখিকভাবে ৭ জনকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আমার নামও রয়েছে। আমিও বিদেশি ক্লাবে খেলবো ইনশাআল্লাহ।
অপর সাফজয়ী খেলোয়াড় ঠাকুরগাঁওয়ের স্বপ্না রানী রায় বলেন, শিরোপা ঘরে আনতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। দেশের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আরও ভালো কিছু করতে সবার সাপোর্ট চাই। আগে হাফ প্যান্ট পরে মেয়েরা ফুটবল খেলছে বলে গ্রামের মানুষেরা কটূক্তি করতো। এতেও আমরা থেমে থাকিনি। স্কুলপর্যায়ে খেলার সময় স্যারেরা অনেক সাপোর্ট করেছে।
নারী ফুটবলার সোহাগী কিসকো বলেন, সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গোটা দেশের মানুষ আমাদের চিনেছে। আমরা চাই গ্রামের নারী ফুটবলাররা যেন খেলার সুযোগ পায়।
পরে বিকেলে সদর উপজেলার সদ্য পুস্করনী নয়াপুকুর স্টেডিয়ামে স্বপ্নাকে সংবর্ধনা প্রদানসহ প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।