• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা,,, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না”— বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ঘোষণা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ,,, জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৪৯ নওগাঁ-৪ (মান্দা) সংসদীয় আসনের ধানের শীষের প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু—-দৈনিক ক্রাইম বাংলা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত গাজী সালাউদ্দিন মারা গেছেন,,,

লক্ষীপুর কমলনগরে গৃহহীন নুরজাহানের ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

রিপোর্টার: / ২০৪ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৩

হাবিবুর রহমান, লক্ষীপুর প্রতিনিধি।।

আজকে কারখানায় কাজ করতে যাইতে পারিনি।সকাল থেকে অনেক অসুস্থ। পাশের বাড়ি কিছু চাউল হাওলাত নেওয়ার জন্য যাচ্ছি।কাল রাত থেকে বাচ্চারা খাওয়ার জন্য অনেক কান্না-কাটি করে তাই বাহির হলাম।যদি চাউল পাই তা হলে এনে বাচ্চাদের কে রান্না করে খাওয়াবো।গত কাল চাউল ছিল না তাই বাচ্চাদের কে ভাত রান্না করে খাওয়াতে পারিনি।

ঘরে চাউল নাই হোলাইন খাইবো কি।কারখানায় কাজ করতে পারলে কিছু টাকা পাওয়া যায় সেই গুলো দিয়ে কিছু চাউল ডাউল হাইতাম। আবেগঘন এসব কথা বলেন গৃহহীন এক নারি

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ৮নং চর কাদিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডে।

অভিযোগকারী নুরজাহান (৩০)৷ জানান, তার স্বামী মো রুবেল একজন শারীরিক প্রতিবন্দী।প্রায়১০ বছর ধরে তার স্বামী কাজ কর্মে অক্ষম হওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি এই কারখানায় কাজ করেন। সন্তান নিয়ে কোনোভাবে খেয়ে-পরে বেছে আছেন।

সম্প্রতি গৃহহীনদের কে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশে সরকার আশ্রয়ণ প্রল্পের লাখ লাখ ঘর দিলেও আশ্রয়হীন নুর জাহানের ভাগ্যে একটি ঘরও মিলেনি।এই বিষয়ে স্থানীয় ৮নং চর কাদিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল্লা হুজুর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হারুনের কাছে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হন। একটি ঘরের আসায় উপজেলা অবস্থ হলে সখানে বাধ্যিত করেন।এমন অভিযোগ শারীরিক প্রতিবন্দী রুবেলের (৩৬)ও এলাকার নজির বেপারির মেয়ে শাহিনুর।তাদের অভিযোগ একটি আশ্রয়ণ প্রল্পের ঘর পাওয়ার জন্য বিভিন্ন নেতার কাছে ও বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও কোন সুফল হয়নি পিরতে হয়েছে খালি হাতে।

গত দুই-চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তারা কোনো ঘর পাননি।তাদের অভিযোগ যাদের বাড়ি আছে ঘর আছে যারা ধনি ব্যক্তি তারায় আশ্রয়ণ প্রল্পের ঘর পাইছে।এমনকি ৬০থেকে ৭০টি ঘরে মানুষ বসবাস করেনা খালি পড়ে আছে ও অনেক গুলো ঘর আবার অনেকে বিক্রি করে পেলে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুনের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। চর কাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল্লা হুজুর জানান,আশ্রয়ণ প্রল্পের ঘর কাকে বা কোন শ্রেণির লোকের মধ্যে বিতরণ করেছেন তা তিনি জানেন না।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জনাব সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন,গৃহহীন এই মহিলার আশ্রয়ণ প্রল্পের ঘর না পাওয়াটা দুঃখজনক। তবে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ