কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক শিক্ষক ও ছাত্রকে বিদ্যালয়ে পাঞ্জাবী এবং টুপি পড়ে আসতে নিষেধ করায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।
সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে সভাপতির পদত্যাগের দাবী করে স্কুল ক্যাম্পাসে শতশত শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলেনপুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মহিপুর কো-অপ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানজিং কমিটির সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জাহাঙ্গীর
ম্যানেজার একই স্কুলের এক শিক্ষক এবং দশম শেনীর ছাত্রকে স্কুলে পাঞ্জাবী এবং টুপির পরিবর্তে স্কুৃল ড্রেস পড়ে আসতে বলেন। বিষয়টি শিক্ষক এবং
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে দ্রুত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সোমবার স্কুল খুললে শতশত শিক্ষার্থীরা টুপি পরিধান করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবী করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিষয়টি অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে সভাপতিকেনপদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তবে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি
পদত্যাগের ঘোষনার পর ক্লাসে ফিরল শিক্ষার্থীরা।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.নাসির উদ্দিন জানান, সভাপতির উক্তিটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ
প্রদর্শন করেছে। পরে সভাপতি পদত্যাগ করলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়। শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, পাঞ্জাবী ,টুপি আমার সব সময়ের পোশাক। কিছু
শিক্ষার্থীরাও তা পড়ে আসে । এ নিয়ে সভাপতির মন্তব্য মেনে নেয়নি শিক্ষার্থীরা। পরে যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানজিং কমিটির সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাদের স্কুল
ইউনিফর্ম পড়ে আসার কথা বলা হয়েছে। এখানে কারো টুপি নিয়ে কথা বলা হয়নি। বিষয়টিকে একটি মহল ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এমন ঘটনার উস্কানী দেয়া হয়েছে । পরে স্বেচ্ছায় তিনি পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।