• শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা,,,, নয়াদিল্লিতে ড. খলিলুর রহমান ও অজিত দোভালের বৈঠক,, বিএনপির প্রচারণায় তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে আপত্তি এনসিপির,,,, পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত এএসআই নুর ইসলাম,,, রামপুরায় টিভি ভবনের সামনে পার্কিং করা বাসে আগুন, পুলিশের ধারণা ‘পরিকল্পিত’,,,,, শিংলা বালুকা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ–২০২৫ অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়,,, জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রতিশোধ নেয়নি—মিরপুরে সমাবেশে জামায়াত আমির,,, আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না—আবারও উল্লেখ করলেন প্রধান উপদেষ্টা,,, আবারও স্বর্ণের দাম কমলো বিশ্ববাজারে,,

বাউফল হাসপাতালে নার্সদের যতো অনিয়ম অবহেলা চরমে অসহায় রোগীরা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

রিপোর্টার: / ২০৬ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা হাসপাতালের নার্সদের দায়িত্বে ভয়াবহ যতো অনিয়ম অবহেলা চরমে পৌঁছেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। এটা যেন হাসপাতাল নয়, আস্ত একটা গারদে পরিনত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ই মার্চ) সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগ ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আর নার্সদের অবস্থান যেন তারা বেড়াতে এসেছেন। তাই মনের আনন্দে দিন কাটছে তাদের। অসুস্থ শিশু রোগীরা যেন নার্সদের গলার কাটা হয়ে আছে।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা আনছার বিশ্বাস, শিপ্রা রানী, মাকসুদা বেগম সহ একাধিকরা জানান, হাসাপাতালে মানুষ কেন আসে, চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু ডায়রিয়া হওয়ায় শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে এসে এখন চরম বিপদে পড়েছি। নার্সদের কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই। ঠিকমতো ওয়ার্ডে আসেনা, দেখেনা, ঔষধ দেয়না। কোনও রকম একটা স্যালাইন হাতে লাগিয়েই তারা লাপাত্তা হয়ে যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা চলে গেলেও একবার এসে দেখে না। হাসপাতাল থেকে কোনও প্রকার ঔষধ দেয়না। সব ঔষধপাতি বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। তা ঠিকমতো সঠিক সময়ে প্রয়োগও করেননা।

তারা আরও জানান, বেডবিছানা ঠিকমতো দেয়না। হাসপাতালে একছের মশা, তারা ঠিকমতো মশারি পর্যন্ত দেয়না। আবার তাদের ডেকে আনতে গেলে বা কোনও সমস্যার কথা বলতে গেলে তারা বকাঝকা করেন, আবার আসছি বলে ঘন্টা পার হয়ে গেলেও আসেনা। যেন হাসপাতালে আমরা ও শিশুরা চিকিৎসা নিতে এসে আরেক বিপদে পড়েছি। এ হাসপাতাল যেন হাসপাতাল নয় বরং একটা গারদখানায় পরিনত হয়েছে।

এদিকে অন্য অন্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান, ভাইরে এ কোথায় আসলাম চিকিৎসা নিতে, যেন আমরা তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি। নার্সরা যেমন খুশি তেমনই করে যাচ্ছেন। তাদের কোনও সেবা যত্নই যেন রোগীদের জন্য নয়। রোগী আছে না মরছে তার কোনও খোঁজখবরই তাদের নেই। ডাকতে গেলে তাও আবার বকাঝকা রাগারাগি করে। বাচ্চাদের ক্যানালা দিয়ে রক্ত বের হয়ে পড়লে তাদের বললে তারা রাগান্বিত হয়ে যায়। ঠিকমতো বেডবিছানা ও মশারি দেয়না। রাতে মশায় কামড়ায় ঘুমাতে পারিনা। আর কোনও ঔষধপাতি নার্সরা হাসপাতাল থেকে দেয়না। সব কিছু বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবে। কিন্তু এই হাসপাতালে আসলে সুস্থ মানুটাও তার মরন নিয়ে বাড়ি ফিরে। এ কেমন হাসপাতাল, এ কেমন নার্স ডাক্তার।

নাম না বলা শর্তে একাধিকরা জানান, হাসপাতালে কোনও নিয়ম নীতি নেই। যার যেমন খুশি তেমনই করে যাচ্ছেন। চিকিৎসার নামে রোগীদের নিয়ে তামাশা চলছে এ হাসপাতালে। আর তারা হাসপাতাল থেকে ঔষধ দিবে কিভাবে রোগীদের, ঔষধ হাসপাতালে আসামাত্রই বাইরে বিক্রি করে ফেলেন। আর নার্সদের কথা নাইবা বললাম।

এপ্রসঙ্গে বাউফল হাসপাতাল নার্সদের ইনচার্জ প্রতিবেদকের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

এব্যাপারে বাউফল হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ পিকে সাহা প্রতিবেদককে বলেন, এব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। যা মাসিক মিটিংয়ে নার্সদের বারবার সর্তক করা হচ্ছে। এবিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন প্রতিবেদককে বলেন, নার্স মানেই সেবাদানকারী। সেখানে অবহেলা অনিয়ম কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ