সরকারের অনুমতি ছাড়া কেজি স্কুল সহ কোন ধরনের বেসরকারি বিদ্যালয় পরিচালনা করা যাবেনা প্রকাশকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে চাপিয়ে দেওয়া যাবেনা শিশুদের কাঁধে বইয়ের বোঝা। যাবেনা ইচ্ছেমত ফি আদায়।খ্যাত ও ফি’ র হার থাকবে নির্দিষ্ট। চলমান অনিবন্ধিত ৫৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকটিকে নিবন্ধন নিতে হবে। ভবিষ্যতে কোন প্রতিষ্ঠান পূর্ব অনুমোদন ছাড়া পরিচালনা করা যাবেনা এ ধরনের নানা বিধান রেখে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বাংলাও ইংরেজি মাধ্যম) নিবন্ধন বিধিমালা তৈরি করছে সরকার। অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে বর্তমানে এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছে। প্রক্রিয়া শেষে মণ্ত্রীসভায় জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, কিন্ডারগার্টেনসহ (কেজি) বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের স্কুল তত্বাবধানের জন্য ২০১১ সালের একটি বিধিমালা ছিল। সেটি যোগোপযোগিতা হারিয়েছে। অন্যদিকে জনস্বার্থে কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে তত্বাবধান করতে চাইলে আইনি ভিত্তি প্রয়োজন।সেই প্রয়োজন সামনে রেখে এবারের বিধিমালা কেউ প্রতিপালন না করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। জানা যায়, প্রস্তাবিত এই বিধিমালার আওতায় পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকারী নার্সারী,কেজি ওপ্রিপ্রটারি স্কুল এবং অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে। উপজেল/ থানা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি মেট্রোপলিটন ও অন্য বিভাগীয় শহরে ৫ হাজার জেলায় ৩ হাজার,উপজেলায় ২ হাজার টাকা ফি জমা দিতে হবে। তিনি যাচাই শেষে তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে পাঠাবেন। তিনিই প্রতিষ্ঠান স্হাপন বা চলমান প্রতিষ্ঠান চালু রাখার চুড়ান্ত অনুমতি দেবেন। আবেদন করার ৬০ দিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে অনুমোদন বা বাতিল করত হবে। প্রাথমিক অনুমতির মেয়াদ হবে সনদ দেওয়া পর থেকে এক বছর। আর পূর্ব তদন্ত ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান নবায়ন করা যাবেনা।