• শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা, মিলছে না প্রতিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহান উদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে উপহার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাষ্ট্র কখনোই এগুতে পারবেনা …. তানিয়া রব/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দাউদকান্দিতে কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতা বাণিজ্যের অভিযোগ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জয় দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নতুন সিরিজে নিয়ে আসছেন টিম রবিনসন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

সঙ্কটে কৃষি জমি, অভিযানেও থামছে না মাটি খেকোদের দৌরাত্ম্য/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

হাবিবুর রহমান।। / ১৬২ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

হাবিবুর রহমান,লক্ষীপুর প্রতিনিধি।।

লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলাতে অবাধে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। দেদারসে কৃষিজমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজে। মাটি পরিবহনের সময় মাটিবোঝাই ভারী ডাম্পার গাড়ির চাপে এলাকার গ্রামীণ সড়কের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব ভাঙ্গা সড়কের কারণে বাড়ছে দূর্ঘটনা, ধুলা-বালি আর মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের সমস্যা। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান, মাটি কাটার যন্ত্র জব্দ ও জড়িতদের আটক করে জেল জরিমানা করার পরও থামছে না মাটি খেকোদের দৌরাত্ম্য। দিন-রাত কাটছে ফসলি জমির মাটি। এই মাটি বিক্রির সাথে জড়িত স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। যে সিন্ডিকেটে জড়িত রাজনৈতিক নেতাকর্মী।

জানা গেছে, ফসলি জমির মাটি বেচাকেনার কাজে ডাম্পার মালিক ও ব্যবসায়ী কর্তৃক একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা বছরের বিভিন্ন সময় (অফ-সিজন) কম দামে একর/কানি চুক্তিতে কৃষকের জমির মাটি কিনে রাখেন। শুষ্কমৌসুমে জমি থেকে মাটি কেটে তা বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করেন।

সরেজমিনে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ফসলি জমিতে মাটিখেকো চক্রের থাবা।চর কাদিরা ইউনিয়নের চর বসু ও চর পাগলা এলাকায় দেখা গেছে সেখানকার কৃষিজমি থেকে এস্কেভেটরের মাধ্যমে দিনের আলোতেই কেটে নিয়ে যাচ্ছে টপ-সয়েল। এই মাটির বেশিভাগ বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায় বলে জানান স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা বলেছেন, বারবার প্রশাসনের কাছে অবৈধ ডাম্পার ও মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও সুফল মিলছে না। জমির টপ সয়েল কেটে নেওয়ায় কমছে জমির উর্বরতা। এতে দিন দিন কমেছে চাষাবাদ।

সচেতন মহলের শঙ্কা, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে এক সময় না খেয়ে মরতে হবে।

চর কাদিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা চৌধুরী আহমেদ বলেন, মাটির ব্যবসায় সক্রিয় একাধিক সিন্ডিকেট। এতে জড়িতরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আঁতাত করে অবাধে কেটে নিচ্ছে কৃষি জমির উর্বর মাটি। ফলে কমে যাচ্ছে চাষাবাদ। বেশির ভাগ মাটি কিনছেন ইটভাটার মালিক কিংবা বিত্তবান ব্যক্তিরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে একসময় মাটিও আমদানি নির্ভর হতে হবে আমাদের।

চর জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার মোঃ রাশেদ বলেন, টাকার লোভে অনেকে মাটি বিক্রিতে ঝুঁকছেন।এক/দেড় ফুট গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভেঙ্গে যাচ্ছে পাশের জমির মাটিও। তাই বাধ্য হয়ে মালিকেরা ওই সব জমির মাটিও বিক্রি করে দিচ্ছেন।

চর মার্টিন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বলেন, প্রকাশ্য কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু বললে হুমকি দেয়। মাটিখেকোরা কৃষি জমিকে পুকুর-খালে পরিণত করছে। গ্রামীন রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মাটি ভর্তি গাড়ি চালানোর কারণে গ্রামীণ রাস্তাগুলো ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলেছে। ধুলাবালিতে বাড়ি ঘরেও থাকা যাচ্ছে না। এদের গর্হিত কাজে অতিষ্ট এলাকার মানুষ।এলাকা বাসির দাবি অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।

এস্কেভেটর দিয়ে জমির মাটিকাটার সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করেন অভিযুক্ত মোঃ রাশেল। মাটি বিক্রি করতে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, সে কিছু জানে না। তবে অন্য তারা জড়িত চর বসু এলাকার ইসমাইল ও আলী নামের ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবে বলে জানান আবদুল খালেক।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রের দাবি, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ‘জিরো টলারেন্সে’র নীতিতে হাঁটছেন তারা। এর মধ্যে গত কয়েকদিন আগে চর মার্টিন ও চর কাদিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা কৃষি জমির মাটি কাটার অভিযোগে চারটি ডাম্পার আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দকৃত ডাম্পার ও মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুদ্দিন মোঃ রেজা বলেন, খোঁজ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। জানতে চাইলে কমলনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, কৃষিজমির মাটি রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। এতে প্রায়ই অভিযুক্তদের জেল-জরিমানা করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ