
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
বান্দরবনের নাইক্ষ্যং ছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ১৮ সদস্য বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এই ১৮ জন পালিয়ে আসছে।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জুমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করে। এরপর দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসে আরও ১ জন। সর্বশেষ বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে জুমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন প্রবেশ করে। এই ১৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এরা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এনিয়ে গত ৩ দিনে মোট ৩৪ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আর ১৪ জন সদস্য। নতুন করে আসা ৩৪ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত রয়েছে। এনিয়ে মোট ২১৪ জন ওখানে রয়েছেন। আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম ।