• বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্র গর্ভে বিলীন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শুরু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। শ্রীহীন হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।সমুদ্রে বিলীন হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় স্থান গুলো/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় কেঁচো সার উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলার লালমোহনে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

জুলাইয়ে ২৫৫ নারী নির্যাতনের শিকার!/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ৯২ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪


আমাদের দেশ বিভিন্ন দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও কিছু কিছু গুরত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবনতির দিকেই হাঁটছে। দেশ এবং জাতির উন্নয়নের নারীর ভূমিকা অপরিসীম অথচ এই নারীকেই প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টি সমাজে বিশৃঙ্খলার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দেশে নারী পুরুষ সমান অধিকার থাকা সত্ত্বেও নারী কেনো প্রতিনিয়ত ধর্ষণের সম্মুখীন হবে? সম্প্রতি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ একটি বিবৃতিতে জুলাই মাসের তথ্য তুলে দরা হয়েছে। বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে জুলাই মাসে ২৫৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩১ জন নারী ১২৪ জন কন্যা রয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৮ কন্যাসহ ৬৪ জন। তার মধ্যে সাত কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে দুই কন্যা। এ ছাড়াও ১৩ কন্যাসহ ২০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৫ কন্যাসহ ১৮ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন চার কন্যা। নারী ও কন্যা পাঁচারের ঘটনার শিকার হয়েছে একজন। দুজন এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন, এর মধ্যে একজনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ১ কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩ জন, এর মধ্যে ৯ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুই কন্যাসহ ৯ জন। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুটি। এক গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও সাত কন্যাসহ ২২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৭ কন্যাসহ ১৮ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে তিনজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। চার কন্যাসহ ছয়জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ৩টি এবং বাল্যবিয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৯টি। এক কন্যাসহ দুজন সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ কন্যাসহ ১৩ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সমস্যা গুলো মধ্যে নারী ধর্ষণ এবং নারীর অধিকার হরণটা অন্যতম। তাই দেশে নির্মাণে উন্নয়ন না করে আগে দেশের মানুষদের অধিকার ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। মানুষ যেন স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারে, সকল জায়গায় সকলের অধিকার যেন নিরপেক্ষ হয় এমন ব্যবস্থা আগে করতে হবে সরকারকে। এছাড়াও যারা ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি সমাজে ধর্ষণ রোধে সচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণা করার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দেশ পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে দেশকে উন্নয়নশীল করার আগে দেশ থেকে ধর্ষণ নামের শব্দটা নির্মূল করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ