দৈনিক ক্রাইম বাংলা ঃ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের সহায়তা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
ফারুক-ই আজম বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন এবং যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি সরকার অতি বেশি সহানুভূতিশীল। তাদের সাহায্য করার জন্য সরকার ইতিমধ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে এবং আহতদের তালিকা এই সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে।”
তিনি আরও জানান, সরকার আহতদের সহায়তার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করছে, যা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করবে। এর মধ্যে, নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান এবং আহতদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সহায়তা দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরের জন্য এই সহায়তার জন্য ২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও, ফারুক-ই আজম জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে একীকৃত চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে এবং তাদের জন্য সারা জীবনের জন্য চিকিৎসাসেবা এবং অন্যান্য ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তার দাবিতে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধের মতো প্রতিবাদী আন্দোলনও হয়েছে। এই প্রতিবাদকারীরা সরকারকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এর পর যদি তাদের দাবি না মানা হয়, তারা সচিবালয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ফারুক-ই আজম আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ অমোচনীয়। জাতি তাদের গৌরবকে সর্বদা স্মরণ করবে এবং তাদের এ গৌরব ভবিষ্যত প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।”
এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের সারাজীবন চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ এবং গেজেট আকারে তালিকা প্রকাশের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।