নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে গণমাধ্যমের অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যালয়ে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়। কর্মশালায় সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত চলে। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেন অপসাংবাদিকতা, হলুদ সাংবাদিকতার অনেক উদাহরণ আছে তার মধ্যে আমার কাছে এই
মুহূর্তে একটা উদাহরণ মনে পড়ছে ২০১৩ সালে।
পবিত্র মক্কা শরীফে গিলাফ পরিবর্তনের ছবি কাটপ্রেস করে বলে দিল। আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবা শরীফের ইমামদের এটা কত বড় বিষয় আমি মনে করলাম। হলুদ বক্তব্য দেওয়ার মূল কারণ প্রফেশনাল ক্লিক করে ফেলা। এইরকম বিষয় নিয়ে হলুদ সাংবাদিকতা, অপসাংবাদিকতার কারণে অনেক ঘটনা ঘটেছে আপনারা আমার থেকে ভালো জানেন।
যখনই আমাদের কোন ধর্মীয় বিষয়ে বলা হয়। যত কম বলা যায় প্রত্যেকেরই একটা ব্যক্তিগত বিষয় ধর্মটা নিজ নিজ আমরা যত এই বিষয়ে খুবই দায়িত্বশীল ভাবে সংবাদ প্রকাশ করি। বাংলাদেশের সাংবাদিক যারা আছেন এই সাংবাদিকতা বা সবসময় সত্যের সংবাদে সাহসিকতা ভূমিকা পালন করেন।
অনেক অপছন্দনীয় বিষয় আপনারা সামনে নিয়ে আসেন ইন্টারনেটের যুগ অপসাংবাদিকতা কোন পর্যায়ে আসছে বুঝতে পারছেন। অনলাইন সাংবাদিকতা প্রসার করছে। প্রিন্ট মিডিয়া দুর্বল হয়ে পড়ছে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া দৌরাত্ম অনেক বেশি। ১৯৭৪ এর ১১: বি ধারা অনুযায়ী প্রনীত সংবাদপত্র সংস্থা এবং সাংবাদিকের জন্য আচরণ বিধি, জাতিসত্ত্বা বিনাশী এবং দেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা ও সংবিধান বিরোধী বা পরিপন্থী সংবাদ প্রকাশ না করা ।
কর্মশালায় প্রেস কাউন্সিলের উপসচিব মো.আব্দুস সবুর বলেন, দেশের জনগণের উপকার আসবে যেকোন বিষয় সচেতন বা জাগিয়ে তোলা বলিয়ে দেওয়া। এটাই হল সাংবাদিকের কাজ, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণা থেকে বিরত থাকা।
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সুপারেন্টেন্ড মোঃ শাখওয়াত হোসেন। সাংবাদিকতার নীতিমালা, প্রেস কাউন্সিল আইন ও আচরণবিধি এবং বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের ওপর অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১ম ব্যাচ এ সারাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন। কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ বিতরন করা হয়।