• শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা, মিলছে না প্রতিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহান উদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে উপহার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাষ্ট্র কখনোই এগুতে পারবেনা …. তানিয়া রব/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দাউদকান্দিতে কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতা বাণিজ্যের অভিযোগ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জয় দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নতুন সিরিজে নিয়ে আসছেন টিম রবিনসন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

কমলনগরে ২০ অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার: চারটিতে নামমাত্র অভিযান দিয়ে দায়িত্ব শেষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ১২৮ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

হাবিবুর রহমান,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ২০ টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে চারটিতে নামমাত্র অভিযান দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচী নাথ।

এতে গতিহীন হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা মনিটরিং কার্যক্রম। এর আগে নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচী নাথ চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে হত্যা মামলার আসামী হয়ে বদলী হয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আসেন। এখানে এসে তিনি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করা ও প্রতি সাপ্তাহে বৃহস্পতিবার এলেই তাকে আর হাসপাতালে পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সাপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতেও জেলা এবং উপজেলায় বিভিন্ন মিটিংয়ের অজুহাতে থাকেন না হাসপাতালে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে অভিভাবক শূন্য হয়ে গেছে।

অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণহীন এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে তাদের বেপরোয়া বানিজ্য। খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই ৮ টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাকের ডগায় চলছে এসব অবৈধ রোগ নিরাময় কেন্দ্র। এতে অবৈধ ব্যবসায়ীদের দাপটে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা। অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এখন বিষফোঁড়া।

জানা যায়, চলতি মাসে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে হাঁকডাক দিয়ে অভিযান শুরু করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মাত্র একদিনে চারটিতে অভিযান দিয়ে কোনো ঘোষণা ছাড়াই থেমে যায় অভিযান। এই অভিযান নিয়েও দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে গুঞ্জন আছে। কোন কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার সম্পুর্ন অবৈধ, সেখানে ১০ হাজার টাকা। আবার কোন প্রতিষ্ঠানের মোটামুটি কাগজপত্র ঠিক থাকলেও দুএকটি কাগজের জন ৫০ হাজার টাকা, রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্নসহ অন্যান্য অপরাধে মাত্র ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

সম্পুর্ন দায়সারাভাবে চলছে গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরটি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও স্বজনপ্রীতির কারনে নিয়ন্ত্রণ নেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চলমানে কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো সঠিক উত্তর নেই কর্মকর্তার কাছে।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচীনাথ বলেন,অভিযান চলবে। আমরা সময়সাপেক্ষে আবার শুরু করবো অভিযান। তার এমন বক্তব্যকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন,এগুলো একজন দায়িত্বশীল মানুষের বক্তব্য হতে পারেনা। আপনি হাঁকডাক দিয়ে অভিযানে নেমে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে চারটিতে বিতর্কিত জরিমানা করে এখন চুপচাপ রয়েছেন। এগুলো কিসের ইঙ্গিত বহন করে?

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.আবু হসান শাহীন বলেন,বিষয়টির আমি খবর নিচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ