• বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্র গর্ভে বিলীন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শুরু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। শ্রীহীন হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।সমুদ্রে বিলীন হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় স্থান গুলো/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় কেঁচো সার উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলার লালমোহনে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

কমলনগরে ২০ অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার: চারটিতে নামমাত্র অভিযান দিয়ে দায়িত্ব শেষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ১০৩ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫


হাবিবুর রহমান,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ২০ টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে চারটিতে নামমাত্র অভিযান দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচী নাথ।

এতে গতিহীন হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা মনিটরিং কার্যক্রম। এর আগে নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচী নাথ চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে হত্যা মামলার আসামী হয়ে বদলী হয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আসেন। এখানে এসে তিনি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করা ও প্রতি সাপ্তাহে বৃহস্পতিবার এলেই তাকে আর হাসপাতালে পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সাপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতেও জেলা এবং উপজেলায় বিভিন্ন মিটিংয়ের অজুহাতে থাকেন না হাসপাতালে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে অভিভাবক শূন্য হয়ে গেছে।

অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণহীন এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে তাদের বেপরোয়া বানিজ্য। খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই ৮ টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাকের ডগায় চলছে এসব অবৈধ রোগ নিরাময় কেন্দ্র। এতে অবৈধ ব্যবসায়ীদের দাপটে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা। অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এখন বিষফোঁড়া।

জানা যায়, চলতি মাসে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে হাঁকডাক দিয়ে অভিযান শুরু করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মাত্র একদিনে চারটিতে অভিযান দিয়ে কোনো ঘোষণা ছাড়াই থেমে যায় অভিযান। এই অভিযান নিয়েও দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে গুঞ্জন আছে। কোন কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার সম্পুর্ন অবৈধ, সেখানে ১০ হাজার টাকা। আবার কোন প্রতিষ্ঠানের মোটামুটি কাগজপত্র ঠিক থাকলেও দুএকটি কাগজের জন ৫০ হাজার টাকা, রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্নসহ অন্যান্য অপরাধে মাত্র ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

সম্পুর্ন দায়সারাভাবে চলছে গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরটি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও স্বজনপ্রীতির কারনে নিয়ন্ত্রণ নেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চলমানে কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো সঠিক উত্তর নেই কর্মকর্তার কাছে।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচীনাথ বলেন,অভিযান চলবে। আমরা সময়সাপেক্ষে আবার শুরু করবো অভিযান। তার এমন বক্তব্যকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন,এগুলো একজন দায়িত্বশীল মানুষের বক্তব্য হতে পারেনা। আপনি হাঁকডাক দিয়ে অভিযানে নেমে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে চারটিতে বিতর্কিত জরিমানা করে এখন চুপচাপ রয়েছেন। এগুলো কিসের ইঙ্গিত বহন করে?

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.আবু হসান শাহীন বলেন,বিষয়টির আমি খবর নিচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ