মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় শ্রীনগর সরকারি কলেজ রোডে মরহুম ইউনুজ দেওয়ানের ছেলে ইতালি প্রবাসী মোঃ সালাউদ্দিন শাওন সরকার থেকে জমি লীজ নিয়ে সেই জমির উপরে স্থায়ী বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সালাউদ্দিন শাওন সরকারি নিয়ম-নীতি না মেনে লীজকৃত সম্পত্তির উপরে সরকারি সকল দপ্তরকে ম্যানেজ করে ৫ তলা ভবন তৈরি করতেছেন।
অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় ইতালি প্রবাসীর জমির থেকে ১৫ ফিট সরকারী সম্পতি যার মালিক সরকার। তিনি সেই জমি লীজ নেন শুধু ভোগ করার জন্য যেখানে সরকারের নিষেধ আছে কোন ধরনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। যখন সরকারের প্রয়োজন হবে সরকার লীজ বাতিল করে সম্পত্তি নিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করবেন। অথচ সেই নিয়ম-নীতি না মেনে সালাউদ্দিন শাওন সেখানে বহুতল ভবন তৈরি করছে।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিন শাওনের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি সাক্ষাৎকার দিতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে তিনি বলেন, এটা আমার লীজ সম্পত্তি আমি সরকারের কাছ থেকে নিয়েছি এবং নবায়ন করেছি এখানে আমি ভোগ দখল করবো এটাই স্বাভাবিক কাজ চলছে আমি আমার ভবনের সামনের জায়গা রেখেই কাজ করব আমি সরকারি জায়গা কেন দখল করব। এই বলে সে তড়িঘড়ি করে ওই স্থান ত্যাগ করে সাংবাদিকদের কাছ থেকে চলে যায়। এর পরবর্তীতে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে সে আর ফোন রিসিভ করেননি ও দেখা করেননি। পড়ে দেখা হলে সে দূর থেকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপরে তার কাজের সাইডে গিয়ে দেখা যায় সে কাজ করছে সরকারি জায়গা না রেখেই। কর্মরত সাইড কন্ট্রাকটার কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমি সেইভাবে কাজ করছি এখানে লীজকৃত সম্পত্তি আছে কিনা আমি জানিনা আমাকে যেভাবে ড্রয়িং দেয়া হয়েছে আমি সেই ভাবে কাজ করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সার্ভেয়ার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের আধিনে না বলে সে দায় এড়িয়ে যায় এবং বলে এটা এ্যাসিলেন্ট স্যারের দায়িত্বে সে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন আমি তাকে জানাবো বলে ফোন রেখে দেয়।
এ বিষয়ে জেলা সার্ভেয়ার ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি এই বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম যদি সে লিজকৃত জমিতে ভবন নির্মাণ করেন তাহলে ভূমি দস্যু মামলার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন বলেন, আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে অনেকেই সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা কালক্ষেপণ করেন এবং তেমন কোন গুরুত্ব দেয় না। এ বিষয়ে আমরা মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তার পাশাপাশি সকল প্রশাসনিক দপ্তরকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ও বিষয়টা তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।