কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া ইউএনওর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বার বার উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বুধবার সকাল ১০ টায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যানারে ইউএনও মো.রবিউল ইসলাম অপসারণের দাবিতে এ বিক্ষোভ করেন। এতে ক্যামেরাম্যান, স্টুডিও মালিক সহ সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় কাফনের কাপড়, জুতা, ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করে তারা। মিছিলে থেকে ইউএনওথর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৈকতের ক্যামেরাম্যান ও স্টুডিও মালিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের স্বস্তিদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং ছবি তুলে জিম্মি করার অভিযোগে স্টুডিও সিন্ডিকেট ভাঙতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মঙ্গলবার শেষ বিকেলে এই অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইয়াসীন সাদেক। তাকে সহায়তা করেন সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। অভিযানে কুয়াকাটার সৈকতের পাশে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক স্টুডিওগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব স্টুডিও থেকে ক্যামেরা, প্রিন্টার, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩১ মে পর্যটন হলিডে হোমসে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক বৈঠকে ফটোগ্রাফারদের ওটিজির মাধ্যমে পর্যটকদের ছবি সরবরাহ ও স্টুডিও বন্ধের তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয় কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম। এর প্রতিবাদে গত ১ জুন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফটোগ্রাফাররা।
তবে ফটোগ্রাফারদের দাবি তদেরে কোন নোটিশ ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রবিউল ইসলাম সংবাদিকদের বলেন, স্টুডিও পট্টি হয়ে উঠেছে পর্যটক হয়রানির কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটকদের স্বস্তি ফেরাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অভিযান চালানো হয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।