• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মান্দা ফেরিঘাটে ধানের শীষের গণমিছিল–ডা. ইকরামুল বারী টিপুর প্রতি আস্থা জানাল স্থানীয় জনতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ,,, মানবতাবিরোধী অপরাধে রায়: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড,,,, নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ১৫৬ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে জানিয়েছে, ষোড়শ সংশোধনী মামলার আসল লক্ষ্য ছিল বিচারপতিদের স্বাধীনতাকে সংকটে ফেলা। রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’কে পুনরায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যাতে তারা অক্ষমতা বা আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ করতে পারে।

চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, ‘ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী ছিল? এটি ছিল কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসকের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট প্রয়াস, যেখানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে কেড়ে নিয়ে সংসদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেই হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল।’

গত বছরের ২০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়টি ঘোষণা করেন। ৫০ পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায়টি আজ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘পর্যবেক্ষণসহ মামলাটি নিষ্পত্তি করা হলো।’

রায়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘যদি কোনো বিচারক তার বিচারিক দায়িত্ব পালনের সময় সরকারের রোষানল কিংবা অসন্তোষের মুখোমুখি হন, তাহলে সংসদের সদস্যদের কলমের এক খোঁচায় তাকে অপসারণ করা সম্ভব, এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেনে নেওয়া যায়? আমার গভীর বিবেচনায় এবং সহকর্মীদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে এর উত্তর, অত্যন্ত স্পষ্টভাবে, ‘না’।’

রায়ে আরও বলা হয়, বিচারপতিদের উচিত বিচারিক কাজে রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো। কারণ এমন মন্তব্য বিচারকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তিনি তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে পারেন।

আদালত আরো বলেছেন, বিচারকদের উচিত রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ না করা, কারণ এতে বিচারব্যবস্থার সুনাম ও স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

রায়টিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এই রায়ের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করার নতুন ভিত্তি পেয়েছে। এই রায় ইতিহাসে স্থান করে নেবে।’

তিনি আরও জানান, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তারা সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে। আগে ৯৪টি কারণে রিভিউ চাওয়া হয়েছিল। আমরা সবগুলো ভালো করে দেখেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রিভিউ করার মতো কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। আদালতকে জানিয়েছি, আমরা আর এসব কারণ দেখাবো না।

এই মামলায় রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই সাত সদস্যের আপিল বিভাগ ওই রায় বহাল রাখে। এর পর রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন দায়ের করে, যার নিষ্পত্তি হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ