শ্রীনগর প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জর শ্রীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের স্বপন মেম্বারের ২য় স্ত্রী সেলিনা আক্তার সহ দুই সাংবাদিক প্রেমিক/যৌনকর্মের পার্টনারের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ৪৯৭ দন্ডবিধি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মথুরাপাড়া গ্রামের ভূক্তভোগী ইউপি সদস্য মোঃ স্বপন (৪৫) মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাাজিষ্ট্রেট আমলী-৩ আদালতে গত ২৬ জুন উপজেলার আরধিপাড়া গ্রামের খালেক ভান্ডারীর জামাতা মরহুম আনিসুর হকের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ওরফে স্ব-ঘোষিত মাইজভান্ডারী (৪০), মরহুম রেনু লস্করের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫০) এবং পূর্ব দেউলভোগ গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে (স্বপন মেম্বারের ২য় স্ত্রী) সেলিনা আক্তার (২৭)এর বিরুদ্ধে এ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে সি.আর মামলা দায়ের করেন। যাহার সি.আর মামলা নং- ৪৯৯/২৫।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৩নং বিবাদী সেলিনা আক্তার অভিযোগকারীর ২য় স্ত্রী এবং ১-২নং বিবাদী ৩নং বিবাদী সেলিনার যৌনকর্মের পার্টনার। এই ১-২নং বিবাদী ৩নং বিবাদীর সহিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে বিবাহ বহির্ভূত যৌনকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এলাকার লোকজনসহ সাক্ষীগণ আসামীগণের এইরূপ সমাজবিরোধী ও আইন বিরোধী কাজের জন্য প্রতিবাদ করে আসছিল। কিন্তু বিবাদীগণ সমাজের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তাহাদের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগকারী ৩নং বিবাদী সেলিনা আক্তারকে শত অনুরোধ করেও সু-পথে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হইয়াছেন। ব্যভিচারের ঘটনা নিয়ে একাধিকবার সালিশ হইলেও বিবাদীগণ সু-পথে ফিরে আসেন নাই ।
মামলার আরজি সূত্রে আরোও জানা যায়, গত ১০/০৬/২০১৫ইং তারিখে রাত ১০.০০ ঘটিকার সময়ে অভিযোগকারী ঢাকা থেকে হঠাৎ তাহার বাসায় ফিরে আসলে ১-২নং আসামীগণ ঘটনাস্থলে থেকে খালি গায়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখে ঘরে ঢুকে তিনি তাহার স্ত্রী ৩নং বিবাদী সেলিনা আক্তারকে শুধুমাত্র পেটিকোট পড়া অবস্থায় দেখতে পান। ঘরের খাটে ১-২নং বিবাদীর শার্ট ও গেঞ্জি পরে ছিল। খাটের নীচে দুটি প্যানথার/কনডমের খালি প্যাকেট দেখতে পান। ৩নং বিবাদীকে ব্যাভিচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে জানায় আমার যত ইচ্ছা তত পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করিব, এতে তোর ইচ্ছা না থাকলে আমাকে ডিভোর্স দিতে পার।
এছাড়াও অন্য আরেক মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২০২৩ সালে ইউপি সদস্য স্বপনের সাথে পূর্বদেউল ভোগ গ্রামের নুরুল হক বেপারীর মেয়ে সেলিনা আক্তারের ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েক মাস যেতে না যেতেই ইউপি সদস্য স্বপন জানতে পারেন তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারের সাথে একাধিক ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্ক ও পরকিয়া রয়েছে। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমানিল্য সৃস্টি হয়। এ দিকে মোঃ স্বপন জানতে পারেন তার স্ত্রীর দুই পরকিয়া প্রেমিক আব্দুল কাইয়ুম ওরফে মাইজভান্ডারী (৪০) ও নজরুল ইসলাম (৫০) তাদের ব্যক্তিগত ফেইসবুকে বিভিন্ন অপ্রিতিকর ও অশ্লিল ছবি ব্যবহার করিয়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন। ইউপি সদস্য স্বপন অপ্রিতিকর ও অশ্লিল ছবি ব্যবহারের বিষয়টি সেলিনা আক্তারের পরকিয়া প্রেমিক আব্দুল কাইয়ুম ও নজরুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে, তারা ইউপি সদস্য স্বপনের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন এবং তাকে হত্যার হুমকী প্রদান করে বলে মামলায় অভিযোগ করেন।