• বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সহিংসতার স্থান নেই রাজনীতিতে”— অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিক্রিয়া,, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিভ্রান্তিকর বার্তায় পোশাক খাতে অর্ডার সংকট,, দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পর্যটন স্পটে শিশু নিখোঁজের ঘটনা নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও বাড়বে: সেনাসদর চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ,,,, রাসপূর্ণিমায় কুয়াকাটায় ঐতিহাসিক মতুয়া মহা-সম্মেলন ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে এখন হালান্ড মেসি–রোনালদোর লেভেলে: গার্দিওলা,,, ঢাবির জুলাই আন্দোলনে সহিংসতা: ৪০৩ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ,, বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে মেহেরপুরে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ,, মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা দেখিয়ে চাকরি, ইউএনও কামাল হোসেনের ডিএনএ টেস্টের সিদ্ধান্ত,,,

মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ৭৮ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হাবিবুর রহমান,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় হাজিরহাট হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে বই বিক্রির ঘটনাটি প্রথমে অস্বীকার করলেও ঘটনাটি জানাজানি হলে তিনি শুনেছেন বলে স্বীকার করেন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনার কিছু ফুটেজ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আসে। ফুটেজে দেখা যায়, মাদ্রাসার বড় ভবনের গেইটের সামনে ট্রাক দাড়ানো। মাদ্রাসা থেকে ট্রাকের ওপর বই ওঠানো হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঈদে মিলাদুন নবী উপলক্ষে মাদ্রাসায় সরকারি ছুটি চলাকালে ট্রাকে করে বই বিক্রি করেন অধ্যক্ষ।
এছাড়াও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাও, দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতা, আর্থিক অনিয়ম ও শিক্ষক-কর্মচারীদের হয়রানির অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

তবে দিনে-দুপুরে উপজেলার খ্যাতিমান একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির ঘটনা সামনে আসায় উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ।
সরকারের দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের বই বিক্রির ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল।

জানা যায়, অতিরিক্ত চাহিদা দিয়ে বই এনে প্রতিষ্ঠানের স্টোর রুমে মওজুদ করে রাখেন অধ্যক্ষ মাও দেলোয়ার। পরে সুবিধাজনক সময়ে তার অনুগত মাদ্রাসার পিয়নকে দিয়ে কেজি দরে সেই বই বিক্রি করে দেন তিনি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার পিয়ন আবদুর রহিমকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও,দেলোয়ার হোসেন বলেন,ছুটির দিন থাকায় আমি মাদ্রাসায় ছিলামনা তবে বই বিক্রির ঘটনাটি শুনেছি। বছরের শেষ সময়ে এখনো বই মওজুদ থাকা ও স্টোর রুমের চাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: রাহাত উজ জামান বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ