• সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতির বিরুদ্ধে মাঠে ডা. ইকরামুল বারী টিপু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছয় দিন পর মারা গেলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি,,, জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মান্দায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নওগাঁর মান্দায় খলিশা কুড়ি বাজারে ধানের শীষের পক্ষে সমবায় দলের গণসংযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বিজয় দিবসে মান্দায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাদির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন, কিডনি কার্যক্রমে উন্নতি হলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা: যমুনার বৈঠকে রাজনৈতিক ঐক্য আমতলীতে নুরজাহান ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পর্যটন স্পটে শিশু নিখোঁজের ঘটনা

রিপোর্টার: / ১১৩ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পর্যটন স্পটে শিশু নিখোঁজের ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে শিশু নিখোঁজের ঘটনা। পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দলছুট হয়ে শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, বিশেষ করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (২১ মাসে) দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মোট ৪৪৩ জন শিশু নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে শুধু গত ৯ মাসে কক্সবাজার সৈকত থেকে ১৬০ শিশুকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সূত্র জানায়, বড় কোনো উৎসব বা ছুটির সময় পর্যটকদের ভিড় বাড়লে নিখোঁজের ঘটনাও বেড়ে যায়। ২০২৩ সালে সারা দেশের পর্যটন স্পটগুলো থেকে নিখোঁজ ৩৭১টি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয় এবং ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

২০১৩ সালে দেশের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়। বর্তমানে ঢাকা (ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম), খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী (রংপুর) — এই চার বিভাগের ১১টি অঞ্চলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সেবা দিচ্ছে। তবে পর্যটকের তুলনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের জনবল এখনো পর্যাপ্ত নয়।

সূত্র আরও জানায়, শিশু হারানোর ঘটনা শুধু অভিভাবকদের উদ্বেগই বাড়াচ্ছে না, বরং পর্যটকদের মধ্যে ভ্রমণ বিষয়ে নেতিবাচক ধারণাও তৈরি করছে। অনেক সময় শিশুদের অতিরিক্ত কৌতূহল ও দুরন্তপনা দলছুট হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার সৈকতে নিখোঁজ শিশু উদ্ধারের জন্য ১০ সদস্যের একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। সৈকতের ২৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে এবং বাইনোকুলারের সাহায্যে শিশুদের গতিবিধিও নজরে রাখা হয়।

অভিভাবকদের উদাসীনতার কারণে শিশু হারালে এখন থেকে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এমন ক্ষেত্রে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে, এবং মুচলেকা দিয়ে তবেই অভিভাবক শিশুকে ফিরে পাবেন।

এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান বলেন,

> “দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে শিশু নিখোঁজের হাজারের বেশি ঘটনার রেকর্ড রয়েছে। কোনো শিশু উদ্ধার হলে আমরা অবিলম্বে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিই। ভ্রমণকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ