• বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশে চালু হলো টিকটকের নতুন ফিচার ‘স্টেম ফিড’ শুক্রবার ১৬ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায বান্দরবানে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক মালিবাগে সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি যতটুকু ঐকমত্য, ততটুকুই এগোবো”—বলেন বিএনপির আমীর খসরু শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হলো ১২ দপ্তরে আমতলীতে প্রভাবশালীদের জোর করে সম্পত্তি দখল অতঃপর থানায় মামলা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আমতলীতে জাতীয় শিশু দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আমতলীতে কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

নাটোরের কাঁচাগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ/d.c.b

রিপোর্টার: / ১২২ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩

নাটোর, ৩০ মার্চ, ২০২৩ () : ঐতিহ্যবাহী  নাটোরের কাঁচাগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নাটোরের জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিবন্ধনের আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজ বৃহস্পতিবার তার দপ্তরে নিশ্চিত করেন।
এফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর নাটোরের কাঁচাগোল্লার আবেদন প্রক্রিয়া প্রেরণ করা হয়েছে। নাটোরের ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান করেছে।
কাঁচাগোল্লা সৃষ্টির পেছনে আছে মজাদার ইতিহাস। অর্ধ বঙ্গেশ্বরী খ্যাত নাটোরের রাণী ভবানীর প্রিয় খাদ্যের তালিকায় ছিলো মিষ্টি। তার রাজপ্রাসাদে নিয়মিত মিষ্টি সরবরাহ করতেন শহরের লালবাজারের মিষ্টি বিক্রেতা মধুসূদন পাল। একদিন মধুসুদন পালের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সব কর্মচারি অসুস্থ হয়ে গেলো। মিষ্টি তৈরীর জন্যে দুই মণ ছানা সংগ্রহ করা ছিল। ছানাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে মধুসূদন ছানার সাথে চিনি মিশিয়ে উনুনে তাপ দেন। কারিগর ছাড়াই এলোমেলো এই আয়োজনে তৈরী হয় নতুন এক মিষ্টি। স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় নতুন এই মিষ্টিই পাঠিয়ে দেন রাণী ভবানীর রাজবাড়িতে। রাণী ভবানী এই মিষ্টি খেয়ে প্রশংসা করেন এবং এর নাম জানতে চান। মধুসূদন পাল তখন কাঁচা ছানা থেকে তৈরি বলে এর নাম দেন কাঁচাগোল্লা। এই হচ্ছে কাঁচাগোল্লা সৃষ্টির ইতিহাস। এই গল্প বেঁচে আছে শত-শত বছর ধরে মানুষের মুখে- মুখে। নাম গোল্লা হলেও এটি দেখতে গোল নয়, মূখ্য উপকরণ ছানা আর চিনির সংমিশ্রণে এক প্রকার সন্দেশ। কাঁচাগোল্লার সাথে জড়িয়ে রয়েছে নাটোরবাসীর আবেগ ও ভালোবাসা। তাই আজ থেকে ২৫০ বছর আগে কাঁচাগোল্লা আবিষ্কৃত হয়ে আজও সুনাম বজায় রেখেছে। নাটোরের বিয়ে, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও অতিথি আপ্যায়নে সরবরাহ করা হয় কাঁচাগোল্লা। শুধু দেশে নয়, সারাবিশ্বেই নাটোরের কাঁচাগোল্লা প্রসিদ্ধ।
জেলা প্রশাসক জানান, নাটোরে সৃষ্টি কাঁচাগোল্লা সারাদেশে প্রসিদ্ধ। ইতিহাস সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে জিআই নিবন্ধনের কাজ শুরু করেছি আমরা। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে জিআই পণ্যের মর্যাদা লাভ করবে নাটোরের কাঁচাগোল্লা।
জিআই তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ