জাতীয় সংসদের ১১৪, পটুয়াখালীর কলাপাড়া -রাঙ্গাবালী উপজেলার স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপি। দলীয় নেতা-কর্মীদের পদচারনায় এখন সরগরম দলীয় কার্যালয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখে অংশ না নেয়ার কথা বললেও ভেতরে ভেতরে মাঠ গোছাতে শুরু
করেছে দলটি। ইতোমধ্যে দলটির ইউনিয়ন ও পৌরসভা ইউনিটের সম্মেলন শেষ করে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহযোগী সংগঠন গুলোর মধ্যে যুবদলের থানা কাউন্সিল ব্যতীত সকল সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন সম্পন্ন। এতে নতুন নেতৃত্ব এসেছে কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলে। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন কে এমপি হিসেবে দেখতে চায় দলের তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের স্থানীয় সাংসদ অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর
রহমান মহিব দলের তৃনমূল নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামীলীগের গত ১৪ বছরে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরছেন সাধারন মানুষের কাছে। তিঁনি বারংবার সাধারন মানুষ ও গনমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গত ৪ বছরে
তাঁর উন্নয়ন যজ্ঞ, নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া ওয়াদার বাস্তবায়ন ও আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে রয়েছে একাধিক মনোনয়ন
প্রত্যাশী। এদের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুবুর রহমান ও তাঁর ভাই অব: ব্রিগেডিয়াল জেনারেল মো: হাবিবুর রহমান রয়েছেন। তবে তাঁদের দু’জনেরই
দাবী তাঁদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। ক্ষমতাসীন এ দলটিতে রয়েছে আরও অসংখ্য মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে সকলেরই দাবী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ। তৃনমূলের একাধিক নির্বাচনে দলের নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করে আলোচনায় উঠে আসা বিতর্কিত এসব নেতাদের দাবী নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবে তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন তাঁরা।
মহিপুর থানা বিএনপি’র সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দীন বলেন, ’বিএনপি ও এর তৃনমূল এখন এবিএম মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে অনেক শক্তিশালী। দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীনরা আমাদের দলীয় কর্মসূচী পালনে বাঁধা সহ মামলা, হামলা
দিয়েও আমাদের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গতে পারেনি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবিএম মোশাররফ হোসেন হবেন এখানকার এমপি।
কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: হুমায়ুন কবির বলেন, ’আওয়ামীলীগ গনতন্ত্র, সুশাসন, ভাত, কাপড় ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দল। তাই এমপি মহিববুর রহমান মহিবের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগ এখন আরও সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামীলীগে কোন বিভক্তি নেই। মনোনয়ন প্রত্যাশায় দলের অভ্যন্তরে যারা বিভক্তির পাঁয়তারা করছে তাঁদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য রয়েছে।