আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-২ (রাজৈর-মাদারীপুর অংশ) আসনটিতে দিন যতোই এগিয়ে আসছে ততোই সরব হয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলগুলো। নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে পাড়া মহল্লা এমনকি বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। জনসভা, সেমিনারসহ নানা কর্মসূচি করে যাচ্ছেন। এছাড়াও নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও থাকার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রার্থীরা নানা অজুহাতে প্রত্যন্ত এলাকা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে মাদারীপুর-২ আসনটি আওয়ামী লীগের অন্যতম ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এখানে বরাবরই আওয়ামী লীগের একক অবস্থান এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। মাদারীপুর-২ আসনটি রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন সমš^য়ে গঠিত।
আওয়ামী লীগ :
এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরি সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থানীয় কমিটির সভাপতি, সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। এ আসন থেকে তিনি একনাগাড়ে ৭ বার আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর সদরে বিজয়ী হন মরহুম মৌলভী আচমত আলী খান (আওয়ামীলীগ)। তার ছেলেই বর্তমান এমপি শাজাহান খান।
এ আসন থেকে তিনি ৬ বার আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পরপর দুই বার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সব সময়ই নিয়মিতভাবে মাদারীপুরে আসেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিসহ সকল ধরণের পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে রয়েছে তার সুসম্পর্ক। মাদারীপুরের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ব্যাপকভাবে। তার সমর্থক ও এলাকাবাসীর দাবি এবারও শাজাহান খানই আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাবেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শাজাহান খান তার সংসদীয় এলাকায় বিশেষ করে প্রত্যন্ত অ লে উন্নয়নে বেশ নজর দেন। বিভিন্ন এলাকায় ব্রীজ কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অ লে তার সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
এছাড়াও তিনি দির্ঘদিনের অবহেলিত রাজৈর ও মাদারীপুরের অনেক উন্নয়ন করেছেন। শাজাহান খানের একক প্রচেষ্ঠায় মাদারীপুরের হবিগঞ্জ সেতু, সেখপুর শম্ভুক সেতু, শ্রীনদী-কবিরাজপুর সেতু, রাজৈর পৌর ভবন, রাজৈর থানা ভবন, মাদারীপুর কাজিরটেক আচমত আলী খান সেতু, মাদারীপুর শিল্পকলা ভবন, মাদারীপুরে আড়াইশ বেড হাসপাতাল, নাসির্ং ইনস্টিটিউট, মেরিটাইন ইনস্টিটিউট, সম্বনিত সরকারী অফিস ভবন, হর্টিকালচার, ইকোপার্কসহ অসংখ্য ব্রীজ কালভার্ট ও সংযোগ সেতু হয়েছে। এছাড়াও শাজাহান খানের রয়েছে শ্রমিক সংঠনের আকুন্ঠ সমর্থন। এসব কারণে আওয়ামীলীগ তাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে তার কর্মী সমর্থক ও এলাকাবাসী জোরে সোরে মাঠে নেমেছেন।
মাদারীপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান বলেন, মাদারীপুর জেলাবাসীর পছন্দের মানুষ হচ্ছেন শাজাহান খান। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিতভাবে আসেন এবং গরীব দুখী সবার কথা শোনেন। তাই এই আসনের মানুষ শাজাহান খানকে খুবই পছন্দ করেন এবং ভালোবাসেন। এবারও তিনি আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা করছি।
বর্তমান সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইবো এবং আমার বিশ্বাস মাদারীপুর-২ আসনে দল আমাকেই মনোনয়ন দিবেন। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় যে সব উন্নয়ন করেছি তা এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তারপরেও এখন অনেক উন্নয়ন করার মত কাজ বাকি আছে। তাছাড়া শুধু মাদারীপুরে নয়, জাতীয়ভাবেও আমি অনেক কাজ করেছি। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে, পরিবহণ শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেছি। গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের সময় আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের বিষয়টি সুন্দরভাবে সমাধান করেছি। এমনকি বিএনপির জালাও পোড়াও এর সময়ও আমি ব্যাপারটি প্রতিহত করেছি। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখবে। সে হিসেবে মাদারীপুরেও উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাবে বলে আমি আশা করছি। তাই বিগত দিনের আমার কাজ ও বর্তমান কাজ বিবেচনা করে আমাকেই মনোয়ন দিবেন বলে আমার বিশ্বাস।
তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের নাম সাধারণ জনগণের মুখে শোনা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের এই প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও কৃষিবিদ। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস-২ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় হন বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনিও একজন আওয়ামীলীগের হেবিওয়েট প্রার্থী। জনগণের মধ্যে তারও ব্যাপক জনসমর্থক রয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তৃর্ণমুল পর্যায়ে তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বাহাউদ্দিন নাছিমসহ মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনকে সামনে রেখে মাদারীপুরের গ্রামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এলাকাতেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, মাদারীপুরের জনগণ পরিবর্তণ চান। এক মুখ দির্ঘ দিন দেখতে চান না। তাই এবার আমরা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের জন্য মনোনয়ন চাইবো। আশা করছি আমরাই মনোনয়ন পাবো এবং বাহাউদ্দিন নাছিম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে তারপর থেকে মাদারীপুরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য এখন পর্যন্ত চলছে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কখনো ভিতরে ভিতরে আবার কখনো প্রকাশে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বর্তমান সংসদ সদস্য শাজাহান খান, যা খান গ্রুপ নামে পরিচিত। অপর গ্রæপের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, যা নাছিম গ্রুপ নামে পরিচিত। এই দুই গ্রুপের দ্বন্দ মাঝে মধ্যে খুবই ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে। দ্বন্দের কারণে বেশির ভাগ দলীয় কর্মসূচি পৃথক পৃথকভাবে পালন করা হয়। ঢাকা থেকে আওয়ামীলীগের বড় ধরণের কোন রাজনীতি নেতা আসলে তখন বা বিশেষ কোন সময় এই দুই বড় নেতাকে এক মে দেখা যায়।
এছাড়াও মাদারীপুরের মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজীর নামেও শোনা যাচ্ছে। মাদারীপুরের কালিকাপুর ইউনিয়নের ফরাজীর হাট এলাকার মরহুম হাজী আনোয়ার ফরাজীর ছেলে সাহাবুদ্দিন ফরাজী। সাহাবুদ্দিন ফরাজীর বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ৭১ এ মাদারীপুর থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি, সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। তার বাবাকে হানাদার বাহিনী গ্রেফতার করে মাদারীপুরের এ আর হাওলাদার জুট মিলে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন করে পঙ্গু করে দেন। তার বড় ভাই সিরাজ ফরাজী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজ ফরাজী বলেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী মাদারীপুর নাজিমুদ্দিন কলেজে অধ্যায়ণকালে ছাত্র লীগের লড়াকু কর্মী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের সভাপতি ও বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সহ সভাপতি ছিলেন। সামরিক এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে এক বছর জেল খেটেছেন। এছাড়াও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তার জন্য মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাওয়া হবে। তিনি গত ২০১৮ সালে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দিলে তিনি এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন।
সব মিলিয়ে এই আসনে শাজাহান খানই আওয়ামীলীগের মনোয়ন পাবেন বলে সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যান। তবে পরিবর্তনের দিক ভাবলে আফম বাহাউদ্দিন নাছিমেও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে পারেন।
বিএনপি :
দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিয়ে বিএনপির তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। তাদের দাবী যদি সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও তত্ববধায়ক সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবেই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তা না হলে নির্বাচনে যাবেন না তারা।
মাদারীপুর-২ আসন থেকে বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, মাদারীপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান। আরেকজন প্রার্থী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য মিল্টন বৈদ্য।
মাদারীপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই মাদারীপুরে প্রথমে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হই। সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জিএস ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। এখন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব পদে আছি। মাদারীপুরের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করছি। বিগত দিনে রাজনীতিতে যখন সংকটাপন্ন ছিল তখনও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সক্রিয়ভাবে বিএনপি’র রাজনীতি করেছি। ভবিষ্যতেও জনগণের পাশে থেকে রাজনীতি করে যেতে চাই। তবে দ্বাদশ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও তত্ববধায়ক সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়, তবেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। সে ক্ষেত্রে দল যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেন তা হলে জনগণকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবো। আশা করছি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।
এ ব্যাপারে মিল্টন বৈদ্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ি। সেসুবাদে গতবারও নির্বাচনে দাড়িয়েছিলাম। তবে নির্বাচনের সবকিছুই নির্ভর করছে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের উপর। তাছাড়া যদি সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও তত্ববধায়ক সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়, তবে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। সর্বপুরি কেন্দ্রিয় স্বীদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত।
জাতীয় পার্টি :
এই আসনে জাতীয় পার্টির তেমন কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সভা সেমিনারসহ কিছু কার্যক্রম চোখে পড়ছে। এই আসন থেকে এখনও তেমন কোন প্রার্থীও নাম শোনা যায়নি।