নিজস্ব প্রতিবেদক।।
১০ হাজার ছাত্রলীগ সদস্যকে গুজব প্রতিরোধ করার প্রশিক্ষণ দেবে সরকার। এটি নিঃসন্দেহে সাংগঠনিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। কিন্তু এই প্রশিক্ষিতোরা কী শুধু আওয়ামী লীগের গুজব প্রতিরোধ করবে নাকি সমগ্র অসহায় জাতিকে গুজব, সাইবার বোলিং এবং উশৃংখল নেটিজেনদের থেকে বাঁচাবে! আমরা দেখেছি, সরকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল উন্নত প্রযুক্তির দিয়ে সুসজ্জিত করেছেন এবং জনগণকে দেশ ও জাতিকে সেবা দিতে উল্লেখিত ট্রাইব্যুনালে প্রচুর সদস্য সংখ্যাও বাড়িয়েছেন এবং প্রশিক্ষিতোও করেছেন। তবুও বাস্তবতা হলো এই, দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারগণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস কক্ষে উচ্চবিত্তদের ও তৃনমুল রাজনীতিকদের নিয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছেন আর ভুক্তভোগী জনসাধারণ তার বারান্দায় অশ্রু সজল চোখ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অসম্মানের ভয়ে নিজের ঠিকানায় ফিরতেও পারছে না।
নারী সমাজ তো বটেই, এদেশের সুশীল সমাজ ও সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ এবং গুণীজনেরাও এই গুজব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। প্রতিটি থানায় সাইবার ডিভিশন থাকা সত্বেও জনগণ ৫% সুবিধাও পায় না, বরং উল্টো ভুক্তভোগীদের পূনরায় লাঞ্ছিত হবার সম্ববনা থাকে ৯০%। একটি জিডি(General Dairy) করিয়ে পাঠিয়ে দেয় সেই সাইবার ক্রাইম হেড অফিসে। যেখানে শক্ত রেফারেন্স ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
১০ হাজার প্রশিক্ষিতো সদস্য স্বতন্ত্র মানসিকতার পরিচয় দেবে এবং দেশ ও জাতির স্বস্তি বয়ে আনবে এই প্রত্যাশা রাখি।
লেখা: সেহলী পারভীন, মহাসচিব, হিউম্যান এইড।
ছবি: শেখ শাহানা বাসিরাত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।