হাবিবুর রহমান,লক্ষীপুর প্রতিনিধি।।
লক্ষীপুরের কমলনগরে গত ৪ দিন থেকে ঘনকুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতের থাবায় কাঁপছে উপজেলাবাসী।
বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারি) থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত, উপজেলার কোথাও সূর্যের ঝলক দেখা যায়নি। সকাল থেকে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলো। তাপমাত্রা নিম্নে আশার পাশাপাশি প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। পৌষের মাঝে এই ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে উপজেলাতে জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা ।অতিরিক্ত গরম পোশাক ছাড়া সাধারণত কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না। ঘর বন্দী উপজেলার প্রায় ৯টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে,ঘনকুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে এলাকার প্রধান সড়ক গুলোতে গণপরিবহন ছিলো খুবই কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে হাট-বাজারে,পথে-ঘাটে দেখা যায়নি। এদিকে শীত জেঁকে বসায় শীতের কাপড়ের দোকানে উপছে ভীড়। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবণ নাকাল হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড ঠান্ডাও ঘন কুয়াশার কারনে খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে-ভ্যান-রিক্স-সিএনজি শ্রমিক ও কৃষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় বৃদ্ধ- শিশুদের মাঝে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের।