রামগড় প্রতিনিধি।।
নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে খাগড়াছড়ির জেলার রামগড় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শামিম সরকার ও মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে । যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের ট্রেনিং ভাতা কম দেওয়া কিংবা না দেওয়াসহ সরকারি চাকরিজীবিকে টাকার বিনিময়ে প্রশিক্ষণ সনদ প্রদান, ভুয়া প্রশিক্ষণার্থী দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থীরা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, ৯ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর মোট ৭ (সাত) দিনের গবাদি পশু পালন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ছিলো চৌধুরা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানাযায় উল্লেখিত তারিখে ওই স্থানে কোন ধরনের প্রশিক্ষণ হয়নি। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা তাদের কে না দিয়ে পুরো টাকা উত্তোলন করে নেয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবসে জনসচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণের কথা বলে ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নেওয়া হয়। কিন্তু, কোন ধরনের প্রশিক্ষণ না দিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ হাতিয়ে নেয় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির কবির ও তার দুই সহকারী কর্মকর্তা। ১৮ অক্টোবর সমন্বিত খামার স্থাপন ও সম্প্রসারণ এবং বায়ো গ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক ৫ (পাঁচ) দিনের প্রশিক্ষণ ৩ (তিন) দিন নামমাত্র করিয়ে কাউকে ৩০০, ৪০০ কিংবা ৫০০ টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করে। যার মাথাপিছু ভাতা ছিল ৭৫০ টাকা। ১৬ নভেম্বর উপজেলার শ্মশান টিলা এলাকায় গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ক ৭ দিনের প্রশিক্ষণ যেনতেন ভাবে ৩ (তিন) দিনে
শেষ করে। এদের ৩০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে। এখানেও জনপ্রতি প্রশিক্ষণ ভাতা ছিল ৬০০ টাকা। এ দিকে একাধিক প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে কথা বলে এই প্রতিবেদক ঘটনার সত্যতা পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।রামগড় উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মোঃ আনোয়ার তারেক সুমন বলেন দেশের বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ ও ঋন প্রধানের মাধ্যেমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও বেকার যুবকদের যুবশক্তিতে পরিনত লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যাক্তি সরকারের এই উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।রামগড় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাদের দূর্নীতি ও নানা অনিয়মের কথা তিনি শুনেছেন এবং সত্যতা পেয়েছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি।