• রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁয় নবগঠিত কলেজ কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা শিক্ষা মানুষকে রাষ্ট্রের উপযোগী করে গড়ে তোলে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা হৃদরোগ কেড়ে নিল ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি জারিওয়ালাকে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ড. ইউনূসের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাল তারেক রহমান,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কালীগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও চারা গাছ বিতরণ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা রোববারেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করবেন এনবিআর ঐক্য পরিষদ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচাইতে ভালো নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা চট্টগ্রামে বিএসটিআই’র স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি উদ্বোধন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় সরকারী গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে আহত-২/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।


কমলনগরে ইটের বিকল্প পরিবেশবান্ধন কংক্রিট ব্লক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

হাবিবুর রহমান।। / ১২৩ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪


হাবিবুর রহমান,লক্ষীপুর প্রতিনিধি।। 

ইটের বিকল্প পরিবেশবান্ধন কংক্রিট ব্লকে ঘর বানানোর চর্চা বাড়ায় দেশে ইটভাটার কারণে পরিবেশের ক্ষতি বন্ধে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) গত কয়েক দশক ধরে পরিবেশবান্ধব ঘর তৈরির প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে প্রচলিত ইটের বিকল্প নির্মাণ সামগ্রী উদ্ভাবনে গবেষণা করে চলেছে।

কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে বানানো ইট পোড়াতে কয়লা ও গাছ ব্যবহার করায় পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে।

তিশা কংক্রিট ব্লগ এন্ড ব্রিকস মালিক মোঃ আজাদ উদ্দিন বলেন মুলত কংক্রিট ব্লগ হলো পরিবেশবান্ধব, মূল্যসাশ্রয়ী, ওজনে হালকা, ভূমিকম্প, আগুন ও লবণাক্ততা প্রতিরোধী, অতি উষ্ণ বা অতি শীতল আবহাওয়ার বিপরীতে নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ দেয়।’
তার মতে, এগুলো দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যয়সাশ্রয়ী।

এসব ব্লক তৈরিতে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহারের পরিবর্তে নদীর তলদেশের মোটা বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়। কখনো ফ্লাই অ্যাশ, পাথরের ধুলো বা অন্যান্য সামগ্রীও ব্যবহার করা হয়।

তিনি জানান, এ ধরনের ব্লকের মধ্যে রয়েছে: কম্প্রেসড স্ট্যাবিলাইসড আর্থ ব্লক (সিএসইবি), ইন্টার লিংকিং সিএসইবি, কংক্রিট হোলো ব্লক, থার্মাল ব্লক (টিবি), ফেরো সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল, সেলুলার ব্লক, ফ্লাই অ্যাশ ব্রিক ও অন্যান্য।

কারখানার পরিচালনায় পরিষদের মেম্বার মোহাম্মদ রানা (সিরাজ) ক্রাইম বাংলাকে বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব ইকো ব্লকের নানান সুবিধা ও প্রচলিত ইটভাটা থেকে সৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি রোধের দায়বদ্ধতা থেকে মানুষ ক্রমশ পরিবেশবান্ধব ঘর তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।’

গত ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব সরকারি নির্মাণকাজে প্রচলিত ইটের পরিবর্তে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে।

এলজিইডির লক্ষীপুর জেলা কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী ক্রাইম বাংলাকে বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে সব সরকারি নির্মাণকাজে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। আমাদের বেশ কিছু স্থাপনা সরকারি নির্দেশনা মেনে তৈরি করা হচ্ছে।’

এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি বিশেষ করে পেভমেন্ট, দেয়াল ও ছাদের জন্য ব্লক তৈরি করছে।সিরামিক মেঝে, দেয়াল, সিঁড়ির জন্য তৈরি করছে পরিবেশবান্ধব টাইলস।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, বিল্ডিং টেকনোলজি ও লিমিটেড কোম্পানি গুলো রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এইচবিআরআইয়ের সহযোগিতায় পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়ে বহুতল ভবন তৈরি করছে।

এ ধরনের ব্লক নির্মাণে ৭০ শতাংশ নদীর তলদেশ থেকে নেওয়া মোটা বালু, ১০ শতাংশ সিমেন্ট ও ২০ শতাংশ শুকনো মাটি মিশিয়ে মেশিনে উচ্চমাত্রায় চাপ দেওয়া হয়।

কারখানার কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার ক্রাইম বাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি মাসে আমাদের ৪৫ হাজার ব্লক উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শিগগির এর উৎপাদন বাড়াচ্ছি। আমাদের পরিবেশবান্ধব ব্লক দিয়ে এলাকায় একটি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ১৩টি ঘর তৈরি করার চলছে।

কমলনগর উপজেলার চর বসু এলাকার সফিকুর রহমান এই প্রতিষ্ঠানটির ব্লক ব্যবহার করে বাসা তৈরি করেছেন। তিনি ক্রাইম বাংলাকে বলেন, এই ব্লক ব্যবহার করে সম্ভাব্য খরচের ৩০ শতাংশ সাশ্রয় হয়েছে। এ ধরনের ১ হাজার ব্লক প্রচলিত ১ হাজার ৭৫০ ইটের মতো কার্যকরী। গাঁথুনির জন্য সিমেন্ট, বালু ও পানি কম লাগে। রাজমিস্ত্রীর খরচও কম।’

‘দেয়ালে প্লাস্টারের প্রয়োজন না হওয়ায় সরাসরি রঙ করা যায়,’

কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালীয়া গ্রামে তিশা কংক্রিট ব্লগ এন্ড ব্রিকস ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানে পরিবেশবান্ধব ব্লক তৈরিতে ৪০ শতাংশ ফ্লাই অ্যাশ, ৪০ শতাংশ বালু, ১৫ শতাংশ সিমেন্ট ও ৫ শতাংশ পাথরকুচি ব্যবহার করা হয়। এসব ব্লক কমলনগর রামগতি উপজেলার আশেপাশের এলাকায় বেশ বাজার পেয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পরিবেশ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রচলিত ইটভাটার সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজারের মতো। এসব ভাটায় বছরে প্রায় ৩৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন পোড়া ইট হয়।

এ জন্য ৩৫ বিলিয়ন কিউবিক ফুট টপ সয়েল পোড়াতে সাড়ে ৫ মিলিয়ন টন কয়লা ও ২ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন জ্বালানি কাঠ পোড়ানো হয়। যা থেকে মারাত্মক ক্ষতিকর ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন গ্রিন হাউস গ্যাস হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর গেলে ক্রাইম বাংলাকে বলেন, ‘ইটভাটা থেকে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হওয়ায় তা থেকে মুক্তি পেতে আমরা রোড ম্যাপ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। নির্মাণকাজে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লকের বহুল ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ