• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। মহিপুরে দুই শিক্ষার্থী বহিস্কার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আরাফাত জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় একাধিক নারীর মৃত্যু,অর্থের বিমিময়ে ধামাচাপা অভিযোগ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় ৬ হাজার কৃষক পেল বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিনে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগ আর্থিক সহায়তা বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দেশীয় কাগজশিল্পের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হবে,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সার্কের স্থবিরতায় চীন-পাকিস্তানের নতুন জোট পরিকল্পনা, আলোচনায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দ্রুত কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার কাল,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এনবিআরে সব চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা—গ্রেজেট প্রকাশ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


কালাপাড়ায় ঘূর্নিঝড় রিমাল’র ধ্বংসের ছাপ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ১৪৪ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২ জুন, ২০২৪


কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে এক যুগ ধরে
কর্মহীন তৃষ্ণা রানীর স্বামী খোকন গাইন। সে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের
ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস করে। কয়েকটি শিশুকে প্রাইভেট
পড়ানোর আয়ে চলে তার সংসার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল সেই মাথা গোঁজার
ঠাঁইটুকু তছনছ করে দিয়েছে। ঘরের মালামাল ভেসে গেছে পানিতে। এখন ঘর মেরামত
করার মত তার হাতে টাকা নেই, তাই মাথার উপর আচ্ছাদন দেয়ার চেষ্টা করছেন
নিজেই। তৃষ্ণা রানী জানান, সিডরের পর থেকেই চার দফা তার ঘর ভেঙেছে ঝড়ে।
কিন্তু এবারে তার শেষ সম্বলটুকুও ভেসে গেছে ঘূর্নিঝড় রিমাল’র তান্ডবে।
একই এলাকার বিধবা দিপালী রানীর ঘর চাপা পড়েছে ভেঙে পড়া গাছের নিচে। বৃদ্ধ
শাশুড়ি ও ছেলে মেয়ে নিয়ে এখনও পার্শ¦বর্তী কলেজের একটি রুমে রাত
কাটাচ্ছেন তারা। দিপালী রানী জানান, গত তিন বছর আগে তার স্বামী মারা
গেছে। ছেলে চয়ন ডাকুয়া লোখাপড়ার পাশাপাশি ফুটপথে বসে চা বিক্রি করে সংসার
চালায়। ঘূর্নিঝড় রিমাল’র তান্ডবে গাছ পড়ে ঘরের সব ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। সে
এখন কিভাবে এই ঘরে থাকবেন, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেননা। তাদের মতই
ক্ষতিগ্রস্থ নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর মাঝে চলছে নিরব এমন কান্না। এ উপজেলার
১২ টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার সবখানেই যেন ঘূর্ণিঝড় রিমাল রেখে গেছে
ধ্বংসের ছাপ।
এদিকে প্রলয়ংকারী ঘূর্নিঝড় রিমাল’র তান্ডবে উপজেলার ১৬৭১টি ঘর বাড়ী
সম্পূর্ন এবং ২৬ হাজার ৯টি ঘর বাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলায়
দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছে উপজেলা
প্রশাসন সূত্র। দুর্গত এসব মানুষের কাছে ত্রান সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে
স্থানীয় প্রশাসন সহ জন প্রতিনিধিরা।
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির জানান,
ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহনির্মাণ বাবদ টিন এবং অন্যান্য উপকরণ ত্রাণ
মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ আছে, যা দ্রæতই তাদের
দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ