কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। মহিপুরের শত বছরের পূরনো ঐতিহ্যবাহী দানবীর বড়মিয়ার ভ‚সম্পত্তি দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে কলাপাড়ার মহিপুর থানার বিপিনপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
দূর্ভোগী আলতাফ হাওলাদার বলেন, আমাদের বেশকয়কটি দোকান ঘর ভাড়া দিয়েছি। বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মুফতি মাওলানা হাবিবুর রহমান আওয়ামীলীগের লোকজন নিয়া ওই দোকান ঘরগুলো দখল করতে আসেন। আমরা বাধা দিলে তারা চলে যায়। তিনি এর বিচারের দাবি জানান।
বড় মিয়া পরিবারের ওয়ারিশ সুমন হাওলাদার জানান, মহিপুরের মমিন উদ্দিন হাওলাদার (বড় মিয়া) বাড়ি একটি দানবীর পরিবার। হাই স্কুল, মাদ্রাসা, প্রাইমারী স্কুল এবং মহিপুর বাজারের জায়গা দান করেছে এ পরিবার। সিববাড়িয়া মৌজায় ১৭২ এস এ খতিয়ানে ৬.১৮ একর জমি রয়েছে তাদের বাড়িতে । এ সম্পত্তিতে ১৭ টি বসত বাড়ি, তিনটি পুকুর, মসজিদ ও মাদ্রাসা ২ টি, ২৫ টি দোকান ঘর ও পারিবারিক কবরস্থান বিদ্যমান রয়েছে। বিগত সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ নেতা মো. রুহুল আমিন দুলাল ডাক্তার তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মামলা, হামলা করে অমানুষিক নির্যাতন চালান আমাদের উপর। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয় দখল করে নেয় আমাদের বাড়ি ঘর সহ পুকুর। আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে ২০১৪ সালে আমাদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে এই সুযোগে আমাদের বাড়ি ঘর দোকান ও মাছের ঘের দখল করে নেয়। এ ছাড়া আরো অনেকের জমি দখল করে নেয়। বর্তমানে দুলাল ডাক্তার আমাদের নতুন করে হয়রানি করার জন্য তিনি নেপথ্যে থেকে তার ভাই মনির ও ইলিয়াস কে দিয়ে সাংবাদিক ভাই দের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়ে জাতীয়, অঞ্চলিক ও অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ সম্মেলন করে ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের বিচারের দাবি করেন তিনি।
বড়মিয়া বাড়ির (ঘর ও দোকান ঘরের) ভাড়াটিয়া শাহালম গাজী,স্বপন মুছুল্লি এবং সামিম হাওলাদার বলেন, আমরা এখানে শান্তিতে বসবাস করতেছি। আমাদের কেউ বাধা দেয়নি এখানে কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
আওয়ামীলীগ নেতা মো. রুহুল আমিন দুলাল ডাক্তার বলেন, আমি এর কিছুই জানিনা, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মুফতি মাওলানা হাবিবুর রহমান জানান, আমরা দখল করতে যাইনি, আমাদের সাথে প্রশাসনের লোক ছিল,ওই খানে একটি বাস কাইন্টার ছিল সেইটা খুলে দিতে গিয়েছিলাম।