• সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে আমাদের জন্য মাইলফলক: সিইসি,,,, রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী’: ঢাকা,,, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড, আহত অর্ধশতাধিক শিক্ষক,,,, মেহেরপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে ৪ স্কুলশিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু,,,, বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান,, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম,,, সরকারের আহ্বানে সাড়া দেবে বিএনপি, কোনো দলের ডাকে নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ,,, পটুয়াখালীর মহিপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি আটক,,, সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি,,, ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে বিএনপি: আমীর খসরু,,,

পুনরুদ্ধারে আন্দোলন চলবে : তারেক রহমান,ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ১৩৭ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রদর্শিত মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের রাজনীতিই হবে বিএনপির রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা।
তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা সবাই গত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে সীমাহীন ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। গত দেড় যুগ ধরে গুম খুন নির্যাতন, জমি-বাড়ী দখল, ব্যবসা নষ্ট করা থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। আজ শেখ হাসিনা ও তার দলবলকে কেমন অপমানজনক ভাবে পালাতে হয়েছে সেটাও আপনারা দেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটাও জানি আপনারাই আমের মৌসুমে সারা দেশে আপনাদের বাগান থেকে সর্বপ্রথম ক্ষীরসাপাতি, ল্যাংড়া আম দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। আপনাদের থেকে প্রায় ৬ হাজার মাইল দূরে থাকলেও আমি আমার অন্তর দিয়ে সবসময়ই আপনাদের দেখতে পাই।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে দেশের আর সবার মতই আপনারাও স্বৈরাচারী হাসিনার দেয়া নিদারুণ কষ্ট আর যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। জেল, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছেন, প্রাণ খুলে কথা বলতে পারেননি। ঠিক মতো ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেননি। আওয়ামী চাঁদাবাজের অত্যাচারে এখানে বড় কোন শিল্প কারখানা কিছুই নাই, নেই বেকারদের চাকুরি।
তারেক রহমান বলেন, এখানে আমের মৌসুমের সবচাইতে প্রথমে আম উৎপাদন হলেও আম সংরক্ষণ বা আমের রস কিম্বা আচার চাটনীর কোন কারখানা নেই। অথচ দেশে নাকি উন্নয়নের আর কিছু বাকী নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনারা নিজেদের শ্রম আর বুদ্ধি দিয়ে এখানে ছাদের জন্য অসাধারণ সুন্দর মাটির টালি তৈরি করেন, সেটা ইটালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানিও হয়, কিন্তু এগুলো আরো সামনে এগিয়ে নিতে কোন বড় কারখানা বানানোর চেষ্টা নেই সরকারের।’তারেক রহমান আরও বলেন,‘আমাদের মা-বোনেরা যারা মাটির টাইলস বানান, সুযোগ পেলে তাঁরা আরও বিভিন্ন রকম কুটির শিল্প গড়ে তুলতে পারেন।’
তিনি বলেন, আর যাদের কিছু চিংড়ি বা মাছের ঘের আছে তারা সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন আকাশে কালো মেঘ দেখলেই, কখন বুঝি আজ থেকে ৭০ বছর আগে তৈরী বেড়িবাঁধ সামান্য বৃষ্টি বা প্লাবনেই ভেঙে যায়, মেরামতের জন্য টাকা লুটপাট ছাড়া আর কিছু হয় না। ফলে মাঠ লবনাক্ত হয়ে ফসল হয় না, আর ঘেরের মাছ ভেসে যায়, চাষি মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে। পর্যটন ছাড়াও এত বড় সুন্দরবনের বিরাট সম্ভবনা থাকলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এর সামন্যই আমাদের কাজে লাগছে। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে, প্রতিটি এলাকার সমস্যা আর অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পিতভাবে আগামীতে উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণে তার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য ও সদ্য কারামুক্ত নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, এডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান এবং আইনুল ইসলাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ