• শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা, মিলছে না প্রতিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহান উদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে উপহার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাষ্ট্র কখনোই এগুতে পারবেনা …. তানিয়া রব/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দাউদকান্দিতে কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতা বাণিজ্যের অভিযোগ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জয় দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নতুন সিরিজে নিয়ে আসছেন টিম রবিনসন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

দরকার জরুরি পদক্ষেপ ক্রমেই বাড়ছে সামাজিক অপরাধ:,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ১০৫ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সামাজিক অপরাধ। এর মূল কারণ, আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকা, মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়া, রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকা ইত্যাদি। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দেখা যায়, সামাজিক অপরাধ অনেকটা ব্যারোমিটারের মতো কাজ করে থাকে। যখন অর্থনীতিতে কিছুটা সক্ষমতা আসে তখন অপরাধ কমে আসে, আবার অর্থনীতি দুর্বল হলে সামাজিক অপরাধ তীব্র আকার ধারণ করে। সুতরাং বুজা যায় যে, অপরাধের সাথে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক সক্ষমতার একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সরকার পতনকে কেন্দ্র করে দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি মিললেও, এই স্বস্তি স্থায়ী হয়ে উঠেনি। বরং দিনদিন অপরাধের প্রবণতা বেড়েই চলছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকার খবরাখবর থেকে জানা যায়, দেশে সামাজিক সহিংসতার ঘটনায় চলতি মাসের ২৭ দিনে সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি খুন হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশে প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক নানা কারণে হত্যার ঘটনা ঘটছে। নিরপরাধ আশ্রয় হিসেবে বিবেচিত গৃহকোণও অনিরাপদ। সেখানেও হামলা চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে মানুষ। এসব ঘটনায় মানুষিক ভারসাম্যহীন যুবক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও রেহাই পাচ্ছেন না। কিছু ক্ষেত্রে বলি হচ্ছে নারী ও শিশুরা। আর্থ-সামাজিক ও মনোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি নৈতিক অবক্ষয়কে এর জন্য দায়ী করছেন অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষকরা। পুলিশ সদর দপ্তরের অভিযোগ, মানুষ আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক সহিংস হয়ে উঠেছে। এসব ঘটনায় পুলিশও রেহাই পাচ্ছে না। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪৮ জন নিহত হয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, এরা সবাই হত্যার শিকার হয়েছে। নারী শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি পারিবারিক বিরোধের জের ধরেও হত্যার ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। সাবেক সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর জের ধরে অনেকেই অনেক ভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অপরাধীরা এখন মানুষ হত্যাকে তেমন বড় ধরনের ঘটনায় মনে করছে না। এর ফলে হত্যাকা– বেড়েই চলছে। তবে কী এভাবেই চলবে দেশ? প্রশ্নটা সাধারণ মানুষের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। এই সরকার নিযুক্ত হয়েছেন দেশের সুশৃঙ্খল পরিবেশ গড়ে তুলতে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় এখনো তেমন কোনো সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখেনি জনগণ। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকার ওই বিষয়ে এখনি উদ্যোগী হওয়ার উপযুক্ত সময়। যত দ্রুত সম্ভব দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়াও সামাজিক অপরাধীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশে আর একটাও হত্যাকা– না ঘটুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ