দৈননিক ক্রাইম বাংলাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ এলাকায় রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেলও ছোঁড়াছুড়ি হয়, যা ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
এঘটনা শুরু হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী অবস্থান থেকে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘বিরূপ আচরণের’ অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এর জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একই স্থানে অবস্থান নেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে নিউমার্কেট ৪ নম্বর গেটের দিকে নিয়ে যায়। তবে, কিছু সময় পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পাল্টা ধাওয়া দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে, যখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন দাবিতে, বিশেষত ঢাকা কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি নিয়ে। তাদের দাবি ছিল যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ তাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন এবং তিনি অবশ্যই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন।
এই ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, ও মিরপুর সড়কগুলোতে। বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, ফলে অফিসগামী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী সোমবার কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সাথে একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে