• সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
৩ মে ঢাকায় হেফাজতের মহাসমাবেশ: নতুন কর্মসূচির ইঙ্গিত,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে আইন মন্ত্রণালয়ে সরাসরি আবেদন করা যাবে,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রস্তাবেও আপত্তি, পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থান চায় বিএনপি,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা। সংগ্রাম শেষ হয়নি, গণতন্ত্র এখনো দূরে: ফখরুল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা। ভোলা-বরিশাল সেতু, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবীতে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা। নওগাঁর বদলগাছীতে ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন- জনদূর্ভোগ চরমে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সভাপতির ইসলামী আন্দোলনে যোগদান/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ার দ্বীন এলাহী দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হলেন মোস্তাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।


সন্‌জীদা খাতুন আর নেই,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ১৮ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫


বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুন আর আমাদের মাঝে নেই। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সন্‌জীদা খাতুনের পুত্রবধূ ও ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ছায়ানট তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক শোকবার্তায় জানায়, ‘সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন-এর প্রয়াণে ছায়ানট গভীর শোক প্রকাশ করছে।’

১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করা সন্‌জীদা খাতুন এক সংস্কৃতিমুখর পরিবারে বড় হন। তাঁর পিতা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক, আর মা সাজেদা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিণী। শৈশব থেকেই সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা শুরু করেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়, দীর্ঘদিন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত চর্চা, প্রসার ও বিকাশের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমির বারান্দায় তাঁর উদ্যোগেই প্রথম সংগীত শিক্ষার ক্লাস শুরু হয়। সেখানে রবীন্দ্রসংগীত শেখাতেন তিনি ও ফরিদা মালিক, নজরুল সংগীত শেখাতেন সোহরাব হোসেন, তবলা শেখাতেন বজলুল করিম, এবং বেহালা ও সেতার শেখাতেন মতি মিয়া। এই উদ্যোগই পরবর্তীতে ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তনের জন্ম দেয়।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

সংস্কৃতির অঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সন্‌জীদা খাতুন বহু পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

 

• একুশে পদক
• বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
• রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
• দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
• ১৯৮৮ সালে কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি
• ২০১৯ সালে ‘নজরুল মানস’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার
• ২০২১ সালে ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা

 

সন্‌জীদা খাতুনের মৃত্যুতে জাতি হারাল এক সংস্কৃতি-প্রাণ ব্যক্তিত্বকে, যিনি তাঁর সারাজীবন সংগীত, শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য নিবেদিত রেখেছেন। তাঁর অবদান আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে তাঁর অভাব অপূরণীয়। তিনি আমাদের মাঝে থাকবেন তাঁর কর্ম ও আদর্শের মধ্য দিয়ে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ