• মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দ্বিপক্ষীয় সফরে আজ মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বদলগাছীতে মানববন্ধন -বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীর ভবনে অভিযান:মাদকসহ আটক করে ৪ জনকে কারাদণ্ড/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

আতঙ্কে তৃণমূল বিএনপি:নোয়াখালীতে বেড়েছে খুন ও অস্বাভাবিক মৃত্যু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ৯১ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫


মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম।।

নোয়াখালী জেলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অপরাধ প্রবণতা, অস্বাভাবিক মৃত্যু বেড়েই চলছে এতে ভয় ভীতিতে রয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। একের পর এক গুম-খুন, হত্যা, আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, চুরি-ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনকে।

ফ্যাসিবাদ সরকারের সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করে হত্যা, বিবদমান গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, ইয়াবা, মাদক,জুয়া, অপহরণ ও অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্যিক দ্বন্দসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে খুন খারাবি যেন নিত্যদিনের সাথী। কিন্তু হঠাৎ করে বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মাঝে খুনসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে সচেতন মহলকে খুব বেশি ভাবিয়ে তুলছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এসব খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধের চাঞ্চল্যকর মামলা গুলোর তেমন কোন অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

নোয়াখালী জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গুপ্ত হামলা ও অত্যাচার নির্যাতনের ভয়ে দিনাপাত করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের পর জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে দু:চিন্তা, আতঙ্ক ও উদ্বিগ্নতা ছড়িয়ে পড়েছে৷ চলমান ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে নোয়াখালীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কিন্তু খবরের অন্তরালেও অনেক ঘটনা-দূর্ঘটনা অপ্রকাশিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ধারাবাহিক হত্যাকান্ডের সার সংক্ষেপ নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়: ৭মে চাটখিল উপজেলায় খিল পাড়া ইউনিয়ন খিলপাড়া মুন্সি বাড়ীর মৃত আব্দুল মতিনের বৃদ্ধা স্ত্রী তাহেরা বেগম (৫৫) কে রাতের অন্ধকারে নিজ ঘরে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করছে এবং গত ১৫মার্চ একই ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামের যুবদল নেতা জাবেদ কিটনাপ করে গুম করা হয়েছে এখনও তার কোন সন্ধান নেই। জাবেদের আসার পথ চেয়ে বসে আছে স্ত্রী ও অবুঝ শিশু সন্তানরা।

৭মে সেনবাগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমাম কে সন্ত্রাসীরা হত্যা করছে।

৬ এপ্রিল সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড মধ্য পাড়া জামে মসজিদের ইমাম নাসির উদ্দিন (৩৭)কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করে।

২মে সুধারাম উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান (৩১) কে উপর আওয়ামী লীগের কিশোর গ্যাং সদস্যরা হামলা চালায়। ২৭ এপ্রিল সদরে জুলাই বিপ্লবে শহীদ বিজয়ীর ছোট ভাই শাহরিয়ার হাসান বিমল(১৬)কে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। ৩০ এপ্রিল সদর তানজিরুল কোরআন সোবাহনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শিশু জিসান(১২)কে এক শিক্ষক অত্যাচার নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

২৮ এপ্রিল বেগমগঞ্জ উপজেলা ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারে যুবদলের নেতা ইয়াসিন আরাফাত শাকিল (২৬) কে আওয়ামীলীগের কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। বেগমগঞ্জে ২৩শে এপ্রিল অজ্ঞাতনামা (৫৫) এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এবং ২৬ এপ্রিল রামগঞ্জ ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মমিনুল হক এর ছেলে যুবদলের নেতা মীর হোসেন (৩১) সন্ত্রাসীরা মেরে সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয় অভিযোগ পরিবারের।

কোম্পানীগঞ্জে ২৮ এপ্রিল সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ১০/১২জন সশস্ত্র ডাকাতদল সীমানা পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে গ্রেট ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে।

কবির হাটে এক কিশোর কে আটকিয়ে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৫জন আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশ।

বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন, হত্যা, আত্মহত্যা, পিটিয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় তা খুবই ভয়াবহ। নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার অপরাধের ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনা করলে তা সাদা চোখে প্রতীয়মান হয় আইনশৃঙ্খলা অবনতির করুণ চিত্র। এই চিত্র চলমান থাকলে সামনে অপরাধপ্রবণতা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থার আগাম চিন্তা মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, জেলা, থানা ও উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়ে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতির আশংকা রয়েছে বলে সচেতন মহল গভীরভাবে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (BHRC) সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন সাধারণ জনগণ সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর যে ভাবে গুপ্ত হামলা হচ্ছে, তা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। তিনি আরো বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত অতিদ্রুত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তাদের তথ্যমতে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সময়ের দাবি।

নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নবী বাবু দুঃখ ভরা কন্ঠে বলেন বিগত ১৫ বছর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা মামলা অত্যাচার নির্যাতনে ঘর ছাড়া ছিলো বিএনপি পরিবার লোকজন এখনো নির্ভয়ে রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না। বিগত সময়ে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে আর নিরাপত্তা হীনতায় ভোগতেছে। ফ্যাসিবাদ সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের হাতে যে ভাবে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তুলে দিয়েছে বিরোধী মতের লোকজনের অত্যাচার নির্যাতন করা জন্য । ৫আগষ্টের পরে নোয়াখালীর প্রত্যেক উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলি ও অত্যাচার নির্যাতনে আহত-নিহত হয়েছে। আমি এ সব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাই।
তিনি আরো বলেন অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের তেমন ভুমিকা রাখেতে সক্ষম হয়নি। আশাকরি অচীরেই যৌথবাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার জোরালো ভূমিকা রাখবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ