স্টাফ রিপোর্টার।।
ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার দোসর কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল বান্দেরঘাট এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ইমরান বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলীয় ছত্রছায়ায় ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর বডিগার্ড হিসেবে থাকার প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জমি দখল, এলাকার কোমলমতি ছেলেদের নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা, জুয়ার আসর, বিভিন্ন ধরনের নামে মাত্র সাইনবোর্ড লাগিয়ে অবৈধ ব্যবসার আড়ালে চালাইতেন তার এই সকল রমরমা ব্যবসা, এবং বিভিন্ন দোকান থেকে মাসিক চাঁদা উঠিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য চেয়ারম্যান কে নিয়মিত অনুদান দিতেন। এই বিষয়ে ভূক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পেতেন না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেন।
এদিকে আওয়ামী সরকার পতনের পরও থেমে নেই এই ইমরানের অপকর্ম। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন তার সকল ধরনের অবৈধ জমি ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি নেতাদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন, যেন তার দীর্ঘদিনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চাপা দেওয়া যায়।
*ছাত্র হত্যার অভিযোগ*
স্থানীয় সূত্র ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, মোঃ ইমরান হোসেন অতীতে এক ছাত্র হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। কিন্তু টাকার জোর, রাজনৈতিক প্রভাব ও আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে গেছেন। এমনকি তদন্ত প্রক্রিয়ায়ও তার প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
*এতে তিনি ক্ষ্যান্ত হননি এমনকি তার পরিবারও রক্ষা পায়নি ক্ষমতার দাপট থেকে*
শুধু রাজনৈতিক বিরোধী বা সাধারণ মানুষই নন, নিজের পরিবারের সদস্যরাও ইমরানের ক্ষমতার দাপট থেকে রেহাই পাননি। অভিযোগ আছে, তার আপন ফুপু ও আরও তিনজন আত্মীয়ের ওয়ারিশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয়া হয়েছে তার নেতৃত্বে। এই ঘটনা এলাকাবাসীর কাছে এক ধরণের আতঙ্কের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
*ক্ষমতা বদল হলেও অপরাধের ধারা অব্যাহত*
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও এলাকায় ইমরানের দাপট অটুট রয়েছে। এলাকায় এখনও আওয়ামীলীগকে মাঠে ফেরাতে চালাচ্ছেন ম্যানেজ ফরমোলা। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করে এখনও বহাল আছেন। ৫ আগস্টের পর দেশ স্বাধীন হলেও এই আওয়ামী লীগের দোসর এখনো আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসন করার লক্ষ্যে অর্থ যোগান দিতে বহাল তাবিয়াতে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন দিব্যি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ও অর্থের প্রভাবের কারণে তিনি এখনো অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ভাওয়াল বান্দেরঘাট এলাকা ক্রমেই অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে।
*জনরোষের মুখে বিতর্কিত বক্তব্য*
এমনকি জনরোষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে জামায়াতের পরিচয় ও তাদের কর্মী বলে দাবি করেন। এবং বলেন আমি আওয়ামী লীগ করেছি সত্যি তবে এখন “আমি জামাতের রাজনীতি করি।” তবে তার এই বক্তব্য আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা-২ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৌফিক হাসান বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। একজন যুবলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কখনোই জামাতের সাথে যোগ দিতে পারে না।
এ বিষয়ে অত্র বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইমরান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভাবে জড়িত ছিলেন এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর খুব কাছের লোক ছিলেন কিন্তু এখন এলাকার বিএনপির সাথে মিলেমিশে আছে। ইমরানের জামায়াতের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বল্লে তিনি বলেন কোন আওয়ামী লীগের লোক জামায়াতের কর্মী সমর্থক থাকতে পারে না ও আমাদের দলের কেউ নয়। তাকে জামাতের সাথে আছে এমন কথা জিজ্ঞেস করতে গেলে তাকে ও বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন বলে জানান।
*এলাকাবাসীর দাবি: দ্রুত গ্রেফতার*
এলাকাবাসীর একাংশ বলছে, ইমরানের দাপট কেবল আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক নিরাপত্তাকেও চরম হুমকির মুখে ফেলেছে। তারা দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
*সাংবাদিকদের হুমকি*
এ সকল বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে সংবাদ কর্মীগণ তার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তার নিজস্ব অফিসে বসিয়ে সিসি ক্যামেরা ওপেন করে সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য সংবাদকর্মীগণকে টাকা অফার করেন। একপর্যায়ে টাকা জোরপূর্বক হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেন সংবাদকর্মীগণ টাকা না নেওয়ায় এবং সেখান থেকে চলে আসায় সিসি ফুটেজ থেকে ভিডিও ধারণ করে সাংবাদিকদের কে হুমকি প্রদান করেন এবং নিউজ করলে আপনাদের দেখিয়ে দিবো বলে হুমকি প্রদান করেন।