• মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক ও বাহিনীগত ব্যর্থতার দায় নির্ধারণে কমিশনের বিস্ফোরক প্রতিবেদন,,, খুলনায় আদালত গেটেই প্রকাশ্যে হামলা: গুলি ও কুপিয়ে দুইজনকে হত্যা মান্দার আকাশজুড়ে একই প্রার্থনা—“হে আল্লাহ, আমাদের মা খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দিন”/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত,,, থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৬২–সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী,,, তিন দিন ধরেই স্থিতিশীল খালেদা জিয়ার অবস্থা—জানালেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ,, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা,,, কে হতে চলেছেন মান্দার অভিভাবক?/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। তেতুলিয়ার সাবাই হাটে ধানের শীষের গণজাগরণ ডাঃ ইকরামুল বারী টিপুকে ঘিরে নির্বাচনী সমাবেশে মানুষের ঢল/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ার অঙ্গীকার জামায়াত আমিরের”

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: বিনিয়োগ ঝুঁকিতে, সমাধান চাই বাস্তবায়নে গতি,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৯২ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫

যানজটে বিপর্যস্ত ঢাকা শহরের জন্য আশার প্রতীক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের প্রথম উড়ালসড়ক প্রকল্প-ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনও পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। মেয়াদ বাড়ানোর রেকর্ড গড়েছে এই প্রকল্প, বেড়েছে ব্যয়, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গতি ফিরেনি নির্মাণে। ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের ‘ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির পর থেকে প্রকল্পটি বারবার সময় ও ব্যয়ে পুনর্র্নিধারিত হয়েছে। প্রথমে ২০১৬ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছাতে পেছাতে সর্বশেষ নির্ধারিত সময় এখন ২০২৬ সালের জুন। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হলেও নির্মাণ চলছে ঢিমেতালে। এত দীর্ঘসূত্রতা একদিকে যেমন জনগণের প্রত্যাশা ভঙ্গ করেছে, অন্যদিকে বিপুল রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকেও করেছে ঝুঁকিপূর্ণ। মূলত সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) গড়ে ওঠা এই প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই দেখা দেয় জটিলতা। ইতাল-থাই কোম্পানির আর্থিক সংকট, পরবর্তীতে বিনিয়োগকারী পরিবর্তন, ভাগাভাগি শেয়ার কাঠামো ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে কাওলা-মগবাজার অংশ চালু হলেও কারওয়ান বাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এখনো নির্মাণাধীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পের সফলতা শুধু একটি সড়কের নয়; এটি নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পগুলোর গতি ও গ্রহণযোগ্যতা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামসুল হক যথার্থভাবেই আশঙ্কা করেছেন যে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বৃহৎ প্রকল্প যদি কাঙ্ক্ষিত সময়ে শেষ না হয়, তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো পরবর্তী প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তায় পড়বে। এত বড় বিনিয়োগ ও নগর ব্যবস্থাপনায় এমন অব্যবস্থাপনা কেবল সময় ও অর্থের অপচয়ই নয়, জনগণের ভোগান্তির স্থায়ী রূপও ধারণ করতে পারে। নগরের গতি ফিরিয়ে আনতে হলে শুধুমাত্র প্রকল্প শুরু করাই যথেষ্ট নয়-বাস্তবায়নের গতিও হতে হবে সময়োচিত ও সমন্বিত। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব, অর্থায়ন ঘাটতি বা প্রশাসনিক বিলম্ব কাজের গতি রুদ্ধ করেছিল, তা সত্যিই দূর হয়েছে। এখন প্রয়োজন তদারকি জোরদার করা, সময়মতো কাজ সম্পন্ন করা এবং জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার উপযুক্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। ঢাকার যানজট নিরসনে এ প্রকল্প একটি মাইলফলক হতে পারে-যদি সেটি শেষ হয় সঠিক সময়ে এবং কার্যকরভাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ